স্টাফ রিপোর্টার : ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই স্বীকৃত্ব পাওয়া ফজলি আমে স্বত্ত অবশেষে দুই জেলা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের হলো। এখন থেকে ফজলি আম পরিচিত হবে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত সচিব) জনেন্দ্র নাথ সরকার সোমবার বিকালে জিআই নিয়ে নতুন এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ৬ অক্টোবর ফজলি আমকে রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেব স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর। এতে আপত্তি জানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন। এ নিয়ে সোমবার ঢাকায় দুপক্ষের শুনানি হয়।
শুনানিতে অংশ নেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দিন। তিনি জানান, তারা তিনজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ছয়জন ছিলেন। সকালে শুনানিতে দুপক্ষই নিজেদের পক্ষে দালিলিক প্রমাণপত্র উপস্থাপন করে। বিকালে নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগের নাম বলে জিআইয়ে ‘রাজশাহী’ শব্দটি আগে থাকবে। তারপর একটি হাইফেন দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাম থাকবে। এটি ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’ হিসেবে জিআই পাবে।
প্রসঙ্গত, জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া ফজলি আম নিয়ে এবার টানাটানি শুরু হয় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে রাজশাহীর বাঘার ফজলি আম রাজশাহীর জিআই পন্য হিসেবে স্বীকৃতি জন্য আবেদন করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় তথ্য যুক্ত করে এ আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় গত বছরের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেব স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর।
তবে ফজলি আম নিজেদের অঞ্চলের দাবি করে এই সিদ্ধান্তের উপর নারাজি দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এ্যাসোসিয়েশন। আর এতেই জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়।
আরবিসি/২৪ মে/ রোজি