স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় চিনি গালাই করে-তার সাথে গো খাদ্য আখের মোনালিস মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে আখের ভেজাল গুড়। এই কারবার বহু দিনের। মাঝে মধ্যে এসব কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে থাকেন সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী। তার পরও অতি গোপনে চলছে এই গুড় তৈরীর কারবার।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আড়ানী পেয়াদা পাড়া এলাকায় শামসুলের বাড়ী থেকে এক হাজার কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করেছে বাঘা থানা পুলিশ। আর বিষাক্ত এ গুড় খেয়ে মারা যাচ্ছে মৌমাছি এমনটি অভিমত ব্যক্ত করেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।
বাঘা থানা পুলিশ জানায়, আড়ানী পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম এবং বাউসা ও আড়ানী ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে চিনি গালাই করে আখের ভেজাল গুড় তৈরী করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী।
এটি তৈরী করার সময় তারা আখের মোনালিস (গো খাদ্য) এবং তার সাথে চুন, ফিটকারি ও রং ব্যবহার করে থাকেন। যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এগুলো প্রতিরোধে বাঘা থানাসহ মাঝে মধ্যে র্যাব ও ডিবি পুলিশ হানা দিয়ে গুড় ধবংস করেছেন এ রকম নজির অনেক। তার পরও কিছু মানুষ এ পেশা বন্ধ করছেন না।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানা পুলিশ উপজেলার পিয়াদা পাড়া গ্রামের মোসলেমের ছেলে শামসুলের (৩৫) বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে যান। এ অবস্থায় পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সামনে ঐ বাড়ি থেকে এক হাজার কেজি গুড় জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা অন্যায়ের শেষ পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছি। আমাদের নীতি-নৈতিকতা বলতে আর কিছুই থাকছে না। যে বিষাক্ত ভেজাল গুড় খেয়ে মোমাছি এবং পোকাড়-মাকড় মারা যাচ্ছে, সেই গুড় তারা মানুষকে খাওয়াচ্ছে। এর চেয়ে অন্যায় এবং ঘৃণিত কাজ আর কিছুই হতে পারে না। তিনি এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা রজু করেছেন বলে জানান।
আরবিসি/১৯ মে/ রোজি