• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

মন্দা কাটানোর চেষ্টা থাকবে বাজেটে

Reporter Name / ১৪৮ Time View
Update : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। দারিদ্র্য বিমোচনকেই এবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে মাথায় রাখতে হচ্ছে মহামারি ও বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিও। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানালো এসব তথ্য।

সূত্র জানিয়েছে, আগামী বাজেটের আকার প্রস্তাব করা হচ্ছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল জিডিপি’র ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে জিডিপি’র অংশ হিসেবে বাজেটের আকার ২ শতাংশ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

বাজেটের আকার কমলেও নতুন অর্থবছরে ঘাটতি থাকবে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। যা জিডিপি’র ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি’র প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।

সূত্রমতে, এখনও করোনার মন্দা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও সারের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকারের ভর্তুকিও বাড়ছে। ভর্তুকির টাকা যোগাতে এবার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা (জিডিপি’র ১১ দশমিক ৩ শতাংশ)।

তবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের হার কমানো হয়েছে প্রায় ২ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সব মিলিয়ে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।

রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নতুন বাজেটে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এনবিআর-এর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর-বর্হিভূত রাজস্ব (এনটিআর) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ দুই খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ হাজার কোটি ও ৪৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৩ শতাংশ ও ৫ শতাংশ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১১ লাখ উপকারভোগী বাড়ছে। অর্থ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতের আওতায় ১২৩টি কর্মসূচি রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এর মধ্যে ৮টি কর্মসূচি হচ্ছে নগদ ভাতা সংক্রান্ত, বাকি ১১টি খাদ্য সহায়তার।

সরকারের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের (এনএসএসএস) মধ্যবর্তী উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকলেও এখানে সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন, খাদ্য, কৃষি ভর্তুকি, ক্ষুদ্র ঋণসহ নানা কার্যক্রমের বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

আরবিসি/১৫ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category