স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে নতুন কোনো রোগী ভর্তি হননি।
এছাড়া আগেরও কোনো রোগী চিকিৎসাধীন নেই। ফলে করোনা চিকিৎসায় খোলা বিশেষায়িত এই ইউনিটটি বন্ধ ঘোষণা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কেউ করোনা সংক্রমিত হলে জরুরি ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।
রাজশাহীতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণ ছিল। প্রথম দিকে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। পরে সংক্রমণ ও রোগী বাড়ায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিট খোলা হয়। ব্যবহার করা হয় ৩০ নম্বর ওয়ার্ডটিও। আইসিইউ ইউনিটে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টি করা হয়েছিল।
গোটা দেশে করোনাার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৪৫৪টি। তবে এই শয্যা সংখ্যার বাইরেও হাসপাতালে দ্বিগুণের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। করোনা ইউনিটের প্রতিটি ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দা ছিল কাণায় কাণায় পূর্ণ। করোনায় মৃত রোগীর স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতাল ভারী হয়ে উঠতো প্রতিদিনই।
এর আগে, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৪ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় ওই মৃত্যু হয়েছিল। একই সালের ২৮ জুনও মৃত্যু ছিল ২৫ জন। মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে সাতজন করোনা পজিটিভ ছিলেন।
এর মধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন মৃত্যুবরণ করেন। আর চারজন শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তারা করোনা নেগেটিভ ছিলেন। মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে রাজশাহীর ছিল ১২ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন, নাটোরের তিন, নওগাঁর দুই, পাবনার তিন, কুষ্টিয়ার একজন এবং যশোরের একজন রোগী ছিলেন। ওই বছরের জুনে করোনা ইউনিটে ৩৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, নতুন বা পুরোনো রোগী না থাকায় করোনা ইউনিটটি আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত মাসে মাত্র ২/৩ জন রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ১২ মে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আর নতুন কোনো রোগীও নেই।
তবে, কেউ করোনা সংক্রমিত হলে সেই ব্যবস্থানা রাখা হয়েছে। তাদেরকে রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও উল্লেখ করেন রামেক হাসপাতাল পরিচালক।
আরবিসি/১৪ মে/ রোজি