আরবিসি ডেস্ক: নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বজ্রপাতে ধান কাটা দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নিহত হয়েছে এক কিশোর। শুক্রবার সকালের দিকে বজ্রপাতের শিকার হন এসব শ্রমিক ও কিশোর।

সানশাইনের নওগাঁ প্রতিনিধি রায়হান আলম ও পোরশা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান বাবু জানান, পোরশার ইসলামপুর ও পশ্চিম রঘুনাথপুর মাঠে ধান কাটার সময় সায়েম আলী (৪০) ও নুর মোহাম্মদ নুহ (৫৫) নামের দুই ধান কাটা শ্রমিক নিহত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির সময় মাঠে ছাগল আনতে গিয়ে জাহানারা বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূ একই এলাকায় আহত হয়েছেন।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হকের বরাত দিয়ে প্রতিনিধিরা জানান, শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে পোরশা উপজেলায় মুষলধারে বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। এ সময় ইসলামপুর ও পশ্চিম রঘুনাথপুর মাঠে ধান কাটছিলেন শ্রমিকরা। বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে সায়েম আলী ও নুর মোহাম্মদ নুহ নামে দুই ধান কাটা শ্রমিক নিহত হয়।

অন্য শ্রমিকরা তাদের পোরশা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। একই সময়ে নিতপুর বাঙ্গালপাড়া গ্রামের জাহানারা বেগম (৫০) মাঠে ছাগল আনতে গেলে তার বজ্রপাত মারাত্মক আহত হন। তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ধানকাটা শ্রমিকদের বাড়ী পোরশা উপজেলার পশ্চিম দুয়ারপাল গ্রামে এবং পশ্চিম রঘুনাথপুর গ্রামে। মৃতদেহ তাদের পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে, পোরশা উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাজমুল হামিদ রেজা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত, আহত বা ক্ষতিগ্রহস্থদের পরিবারে তাৎক্ষনিক সরকারী অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সানশাইনের জয়পুরহাট প্রতিনিধি বিপু জানান, কালাইয়ে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে বজ্রপাতে হৃদয় নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে হৃদয় নামে ১৩ বছরে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বৃষ্টির সময় হৃদয় তার বাড়ির অদূরে একটি ইউক্যালিপটাস গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বিকট শব্দে তার ওপর বজ্রপাত হয়।

বজ্রপাতে হৃদয় গুরুত্বর আহত হলে পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হৃদয় কালাই উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।

আরবিসি/১৩ মে/ রোজি