আরবিসি ডেস্ক : ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মমুখী মানুষ। তবে ফিরতি পথে তাদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি বলে জানিয়েছেন। অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেই রাজধানীতে ফিরতে পেরে তারা খুশি।
শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেন থেকে বহু মানুষ প্লাটফর্মে নেমেছেন।
সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশনের ৫ নাম্বার প্লাটফর্মে এসে পৌঁছায় তারাকান্দি থেকে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস। ট্রেনের প্রায় ১৪/১৫টি বগি থেকে ১০ মিনিট ধরে শুধু যাত্রীই নামেন।
ওই ট্রেনের যাত্রী হয়ে আসা রাজধানীর একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কর্মী ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, বাবা-মা ছেড়ে আসাটা হৃদয়বিদারক। কিন্তু কাজের সুবাদে কিছু করার নেই, বাধ্য হয়ে আসতে হয়। যাওয়ার সময় ভ্রমণ একটু কষ্টদায়ক হলেও, আজ ফেরার ভ্রমণটা ছিল অনেকটা কমফোর্ট।
ওই ট্রেনে সরিষাবাড়ী থেকে আসা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক কষ্ট হলেও ঈদের একদিন আগে বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কোনো উপায় নেই, তাই আজই চলে আসতে হলো পরিবার নিয়ে। কাল থেকে অফিস শুরু। ফিরতি পথে ট্রেনের টিকিট পেতে এবং আসতে কোনো ভোগান্তি হয়নি। খুব সুন্দরভাবে আসতে পেরেছি। আরো কিছুদিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে থাকতে পারলে বেশি ভালো লাগতো।
বেলা ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের ৪ নম্বর প্লাটফর্মে সিরাজগঞ্জ থেকে এসে পৌঁছায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস। ওই ট্রেন দিয়ে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করেছেন।
তাদের একজন আফসানা নওরীন বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ, কোনো সুযোগ নেই একটি দিন বেশি কাটিয়ে আসব। আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দিতে হবে। তাই হাজার কষ্ট হলেও বাবা-মার সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে আসতে হয়েছে। ট্রেনে যতটা ভিড় হবে ভেবেছিলাম ততটা ভিড় হয়নি। সুন্দরভাবে আসা সম্ভব হয়েছে।
আরবিসি/০৬ মে/ রোজি