আরবিসি ডেস্ক: ঈদযাত্রার জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যারা কেটেছিলেন তাদের যাত্রা শুরু হয়েছে দুদিন আগে থেকে। আর এখন ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে মানুষের সামান্য ভিড় থাকলেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি ঈদে ঘরমুখো উচ্ছ্বসিত মানুষের। শুক্রবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে কমলাপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এতে বেশ স্বস্তিতে ট্রেন ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা।
দুপুর ১টার দিকে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে বসে ছিলেন খাইরুজ্জামান। তিনি বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদে তিনি বাড়িতে যাননি। এবার মা-বাবার সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছেন। ট্রেনে টিকিট কাটা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু আজকের ব্যবস্থাপনায় তিনি সন্তুষ্ট। শিডিউল অনুযায়ী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটির বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা। নির্দিষ্ট সময়ের আগে থেকেই প্লাটফর্মে ছিল ট্রেনটি।
সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের যাত্রী মো. আসাদ বলেন, ট্রেনের টিকিট পেতে একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমি অনলাইনে টিকিট করেছিলাম। আমার এবং আমার স্ত্রীর মোবাইলফোন থেকে ট্রাই করি, কিন্তু পাইনি। পরে অফিসের কম্পিউটার থেকে চেষ্টা করে পেয়েছি। দুই বছর পর বাড়িতে ঈদ করতে পারবো, এটা স্বস্তির। আর ট্রেন ঠিক সময়ের আগেই প্লাটফর্মে এসেছে এবং আশা করছি ছাড়বেও সঠিক সময়ে।
এদিকে যানজটের ভয়ে ট্রেন ছাড়ার অনেক আগেই স্টেশনে এসে বসে ছিলেন অনেকে। দুপুরে পুরো প্ল্যাটফর্মে মানুষের সরব উপস্থিতি ছিল। তবে ট্রেন ছাড়লেই প্লাটফর্ম শূন্য। হুইসেল বাজিয়ে একেকটি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ছে, আরেকটি ট্রেন এসে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াচ্ছে। ঠিক সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় সন্তুষ্ট হয়েছেন যাত্রীরাও।
সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মো. আমিনুল হক বলেছেন, শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো ঈদযাত্রা করছেন মানুষ। আজ সারাদিনে ১২২টি ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে। এরমধ্যে ৪টি স্পেশাল ট্রেন রয়েছে।
আমিনুল হক বলেন, সকাল ১১টা পর্যন্ত দুটি ট্রেন স্টেশনে আসতে বিলম্ব করলেও আমরা দ্রুত চেষ্টায় আধা ঘন্টার মধ্যেই সেগুলোকে গন্তব্যে যেতে ছেড়ে দিতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু সেতু এক লেন হওয়ায় সেখানে অপেক্ষা করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া সবাইকে নিরাপদে নামিয়ে দিতে প্রতিটি স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছু সময় বেশি থামানো হবে। ফলে সময় মেনে চলা কঠিন হবে। তবে কোনো দুর্ঘটনা না হলে সময়সূচিতে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে না। আমরা চেষ্টা করেছি দ্রুত ঢাকা থেকে ট্রেনগুলোকে ছেড়ে দিতে।
আরবিসি/২৯ এপ্রিল/ রোজি