স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সেচের পানি না পেয়ে দুই কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চাকরিচ্যুত গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) অনুমোদন হয়েছে। সেটি এখন আদালতে দাখিলের জন্য প্রস্তত রয়েছে। যেকোন সময় আদালতে দাখিল করা হবে।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন সোমবার তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়েছেন। বুধবার অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করার কথা থাাকলেও আদালত সূত্র জানায় তারা এখনো পায় নি। তবে ওসি কামরুল ইসলাম বলেন যে কোনো সময় চার্জশীট দাখিল করা হবে।
তিনি জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আত্মহত্যার প্ররোচনার মা
মলার অভিযোগপত্রে শুধু সাখাওয়াতকেই অভিযুক্ত করা হচ্ছে। কৃষকের পানি না পাওয়ার সঙ্গে অন্য কারও গাফিলতি পাওয়া যায়নি।
ওসি জানান, অভিনাথ মারান্ডির আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্রটি অনুমোদন দিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি নিজেও এতে সই করেছেন। আর রবি মারান্ডির আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলারও অভিযোগপত্র প্রস্তুত হয়েছে।
সেটিও অনুমোদনের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে এটির অনুমোদন হতে পারে। তারপর সেটি আবার থানায় আসবে। তখন তিনি সই করে তা আদালতে পাঠাবেন।
গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামের সাঁওতাল কৃষক অভিনাথ মারান্ডি ও তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি গত ২৩ মার্চ বিষপান করেন। এতে অভিনাথ সেদিনই মারা যান। ২৫ মার্চ মারা যান রবি। পরিবারের দাবি, দুই কৃষককে বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি দিচ্ছিলেন না বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেন।
ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত পানি না দিয়ে তাদের বিষ খেতে বলেছিলেন। এ কারণে তারা বিষপান করেন। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে দুটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়।
মামলা হলে ঘটনার ১১ দিন পর পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিনই বিএমডিএ সাখাওয়াতের নিয়োগ বাতিল করে। সম্প্রতি দুই কৃষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পায় পুলিশ।
এতে দুই কৃষক একই ধরনের বিষ পানে মারা গেছেন বলে বলা হয়েছে। পুলিশও তদন্তে সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করতে যাচ্ছে পুলিশ।
আরবিসি/২৭ এপ্রিল/ রোজি