আক্কেলপুুর প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তিন গ্রামের সুবিধার্থে জমির কাঁচা ধান কেটে ঈদগাহ নির্মাণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠ না থাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যেতে হয় তিন গ্রামের প্রায় দেড় হাজার লোকজনদের।
এ কারণে গ্রামের মানুষদের সুবিধার্থে নিজ জমির কাচা ধান কেটে ঈদগাহ মাঠ করার জন্য স্থায়ী ভাবে জায়গা দেন আজাহার আলী নামের এক সহকারী অধ্যাপক। ঘটনাটি উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের।
এতে খুশি ওই ইউনিয়নের চারদিঘী, ফুলবাড়ী ও রায়নগর গ্রামের লোকজন। রায়নগর গ্রামের আজাহার আলী তিলকপুর নূর নগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলী জমি থেকে চলছে কাঁচা ধান কাটার কাজ। কাঁচা ধান কাটার কারণ জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, তিন গ্রামে কোন ঈদগাহ মাঠ নেই। প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে তাদের যেতে হয় ফসলী জমি পাড়ি দিয়ে পাশ^বর্তী গ্রামে বা দূরের কোন ঈদগা মাঠে।
একারণে তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে স্থানীয় আজাহার আলী নামের এক সহকারী অধ্যাপক তার ১৭ শতাংশ রোপনকৃত ধানের জমি ঈদগাহ মাঠ করার জন্য দিয়ে দেয়। ঈদ আসন্ন হওয়ায় মাঠ প্রস্তুুতের জন্য তারা ৮ শতাংশ জমির কাঁচা ধান কাটছেন।
আপাতত এই ৮ শতাংশ জমির উপরে তারা এবারের ঈদ উল ফিতরের ঈদের নামাজ পড়বেন। পরবর্তীতে তারা পুরো জায়গার উপরে ঈদগাহ মাঠের ব্যবস্থা করবেন। ঈদগাহ মাঠের জায়গা পেয়ে খুশি তিন গ্রামের লোকজন।
চারদিঘী গ্রামের রমজান আলী বলেন, ‘আমাদের অনেক দিনের আশা ছিল নিজ গ্রামে ইদগাহ মাঠ হবে। আশেপাশের তিন গ্রামে কোন ঈদগাহ মাঠ না থাকায় কষ্ট করে ঈদের নামাজ পড়তে অনেক দূরে যেতে হয়। আমাদের কষ্ট লাঘবের জন্য অধ্যাপক আমাদের জমি দিয়েছে। আমরা গ্রামবাসীরা মিলে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য মাঠ প্রস্তুত করছি। আমরা খুব খুশি কারণ এখন আমাদের নিজেদের গ্রামে ঈদগাহ মাঠ হচ্ছে।’
সহকারী অধ্যাপক আজাহার আলী বলেন, ‘আশেপাশে তিন গ্রামে কোন ঈদগাহ মাঠ না থাকায় গ্রামবাসীরা আমার কাছে এসে ঈদগাহ মাঠ করার বিষয়ে জানালে আমি আমার নিজ জমি দিয়ে দেই। এতে গ্রামের মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে’।
আরবিসি/২৭ এপ্রিল/ রোজি