আরবিসি ডেস্ক : তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাত থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। এক্ষেত্রে ঈদের ছুটির পুরোটা জুড়েই কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২৯ এপ্রিল থেকে সারাদেশেই কালবৈশাখী ঝড় হবে। ঢাকাতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই অবস্থা থাকবে আগামী ৪ মে পর্যন্ত।
গত ২২ এপ্রিল থেকে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। ২৪ ও ২৫ এপ্রিল সেটা ৪১ ডিগ্রিতে উঠে যায়। চলতি বছর এপ্রিলে গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে রেকর্ড করা হয় গত ১৫ এপ্রিল, ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সেই তাপপ্রবাহ কেটে গেলে এক সপ্তাহ দেশব্যাপী গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও ফের ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তাপপ্রবাহ, যা এখনো দেশের চারটি বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
একে তো তাপপ্রবাহ তারওপর বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। ফলে পর্যাপ্ত বাতাস থাকলেও গরম অনুভূতি বেড়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, গ্রীষ্মকালে সূর্য সরাসরি মাথার উপরে থাকে। বর্তমানে সূর্য বাংলাদেশের ওপর খাড়াভাবে কিরণ দিচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা এমনিতেই বেশি। এর মধ্যে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ রয়েছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ। ফলে শরীরের ঘাম বাতাস টেনে নিতে পারছে না। এজন্য শরীর স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকছে। আর তাপটা বেরিয়ে যেতে পারছে না। তাই গরম আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে।
২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণের কোনো আভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হবে দেশব্যাপী। আর সেটা হবে অস্থায়ীভাবে। এক্ষেত্রে কোথাও কোথাও এক পশলা ভারী বৃষ্টি হবে। এজন্য স্থায়ী বৃষ্টিপাত না হলেও কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত থাকবে।
আরবিসি/২৭এপ্রিল/ রোজি