আরবিসি ডেস্ক : ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের অভিযোগ উঠেছে রাঙামাটির স্পিডবোট মালিক সমিতির বিরুদ্ধে। পানি কমে যাওয়ার অজুহাতে জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছে তারা। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তবে, ভাড়া না বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ সৃষ্টির ফলে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ১০ উপজেলার মধ্যে পাঁচ উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। এসব উপজেলার বাসিন্দাদের লঞ্চে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে জেলা সদরের সঙ্গে যাতায়াত করতে হয়।
বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মানুষের কষ্ট লাঘবে ২০১৮ সাল থেকে লঞ্চের পাশাপাশি চালু করা হয় স্পিডবোট সেবার। আগে সময় লাগত ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা। এখন লাগছে মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যে যাওয়া যায়। ফলে স্বল্প সময়েই জনপ্রিয় হয় ওঠে এই সেবা। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয় যথাক্রমে ৫০০ ও ১ হাজার টাকা।
যাত্রীদের অভিযোগ, মানুষের এই চাহিদাকে পুঁজি করে ঈদযাত্রা শুরু হওয়ার আগেই পানি কমে যাওয়ার অজুহাতে ১০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছে স্পিডবোট মালিক সমিতি। পাশাপাশি প্রতিটি বোটেই নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। এ ছাড়া ঈদে কৃত্রিমভাবে বোট সংকট দেখিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।
আর ভাড়া বাড়ানোকে বৈধ করতে খোঁড়াযুক্তি তুলে ধরে স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস । তিনি বলেন, আগে এক ঘণ্টার মধ্যে লংগদু যাওয়া যেত। এখন দেড় ঘণ্টা লাগে। জ্বালানি খরচ দেড়গুণ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া যন্ত্রপাতির দামও বেড়ে গেছে।
তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভাড়া না বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন । তিনি বলেন, গত বছরও এমন হয়েছিল। সে কারণে আগে থেকেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দ্রুত পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান করা জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছি।
বাঘাইছড়ি- লংগদু নৌরুটে প্রতিদিন গড়ে ২০টি বোট চলাচল করে।
আরবিসি/২৬ এপ্রিল/মানিক