আরবিসি ডেস্ক : কম দামে পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে প্রথমেই যে নামটির কথা আমাদের মাথায় আসে তা হলো কলা। তবে প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাসে শরীর সুফল পাবে না ঝুঁকিপূর্ণ হবে আসুন তা জেনে নেই আজকের আয়োজনে।
অনেকেই সহজে পুষ্টি পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে প্রতিদিনের সকালের নাশতায় কলাকে বেছে নেন। হলুদ বর্ণের এই কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী পুষ্টিগুণ। তবে সামান্য ভুলের কারণে আপনি কলাকে শরীরের জন্য উপকারী না করে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছেন প্রতিনিয়ত।
কলাতে রয়েছে মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার যা শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এইসব উপাদান ছাড়াও কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি মাঝারি মাপের কলা থেকে শরীরে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রবেশ করে, যা হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে কাজ করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া জরুরি। কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম হওয়ায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা নিশ্চিন্তে কলা খেতে পারেন।
হঠাৎ কমে যাওয়া ওজন ফিরে পেতে, গরমে ক্লান্তি দূর করতে, হাড়, মজবুত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করতে প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
তবে কলা খাওয়ার এই অভ্যাসের সুফল পেতে শুধু হলুদ বর্ণের মসৃণ চামড়ার কলাকেই বেছে নিন। যদি কলার খোসা অমসৃণ ও কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকে তবে সেই কলায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর কার্বাইড ও ফরমালিন ব্যবহার করা হয়েছে বুঝবেন। এমন ধরনের কলা খাওয়ার অভ্যাসে আপনি সুফল পাবেন না বরং তা শরীরের জন্য হয়ে উঠবে ঝুঁকিপূর্ণ।
কলা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকারিকতা পেতে দিনের শুরুতেই মানে সকালে কলা খেতে পারেন। তবে কখনোই খালি পেটে কলা খাবেন না। এতে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। ভালো ঘুমের জন্য রাতেও কলা খেতে পারেন। তবে যাদের ঠান্ডা ও অ্যাজমা সমস্যা রয়েছে তারা রাতে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আরবিসি/২৬ এপ্রিল/মানিক