আরবিসি ডেস্ক : নগর বাউলখ্যাত দেশসেরা রকস্টার জেমস মারণ ড্রাগ এলএসডিতে আসক্ত ছিলেন। আরেক শিল্পী পান্থ কানাই নিতেন কোকেন। এমন বিস্ফোরক তথ্যই উঠে এসেছে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বায়োগ্রাফিতে।
‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইটিতে আসিফের জীবনের বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে সংগীতাঙ্গনের বিভিন্ন অজানা বিষয়। যেগুলো আসিফ আকবর অকপটে স্বীকার করেছেন।
বায়োগ্রাফিটি শিগগিরই বাজারে আসবে। বর্তমানে প্রি-অর্ডার চলছে। তার মধ্যেই বইটির কয়েকটি পাতা সময় সংবাদের হাতে এসেছে। আর তাতেই চোখ আটকে যাচ্ছে। ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইয়ের ২০৪ নং পৃষ্ঠায় উঠে এসেছে সংগীতাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীদের মাদকাসক্তির কথা।
২০৪ নং পাতায় লেখা, ‘ভয়াবহ সব ড্রাগে আসক্ত শিল্পীরা। সবাই না। তবে বেশিরভাগই। নাম বললে চাকরি থাকবে না টাইপের সংখ্যা এবং নাম। দেশসেরা রকস্টার জেমসের ড্রাগ নেওয়ার গল্প শুনে থ হয়ে গিয়েছিলেন আসিফ। আড্ডায় শুনেছেন, এলএসডি নামের এক ড্রাগে আসক্ত তিনি। পান্থ কানাই কোকেন আসক্ত। আরও অনেকেই। কার নাম রেখে কার নাম বলবেন? নানাবিধ সেসব ড্রাগ। কেউ আইস, ফেনসিডিল, কেউ হিরোইন-প্যাথেডিনে আসক্ত। এ ছাড়া আরও কত নাম শোনেন আসিফ ডিএমটি, বেঞ্জোস, আইস, ক্রিস্টাল প্রভৃতি। এসব ড্রাগের সঙ্গে জড়িয়ে গল্প চলে সংগীতাঙ্গনের নামী-দামি সব শিল্পী-কলাকুশলীর নামে।’
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াত ঠাকুর রবিনের সঙ্গে। রোববার সকালে সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। এগুলো একেবারেই তার মনগড়া ও ব্যক্তিগত অভিমত। আমরা উনার পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারি।’
জানতে চাইলে পান্থ কানাই বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কিছু খাই। কিন্তু আসক্ত এটা উনি বলতে পারেন না। আমি আসক্ত ছিলাম না। মিউজিক ছাড়া কেনো কিছুতে আমি আসক্ত না। এটাই আমার নেশা। আমি ধোয়া তুলশী পাতা না, কিন্তু আসক্তও না।’
অন্যদিকে সংগীতাঙ্গনের ‘থ্রি-বি’ ফ্যাক্টর নিয়েও মুখ খুলেছেন আসিফ। ‘থ্রি-বি’ মানে বিশ্ব-বেবী-বাচ্চু। অর্থাৎ কুমার বিশ্বজিৎ, বেবী নাজনীন ও আইয়ুব বাচ্চুর সম্মিলিত নামের এই সংক্ষিপ্ত রূপ ‘থ্রি-বি’। বইটির ২০৩ নং পাতায় উঠে এসেছে ‘থ্রি-বি’ ফ্যাক্টর।
সেখানে লেখা আছে, ‘থ্রি-বি কথাটা কেন চালু হলো? কারণ, এই তিন গুণী শিল্পী শো করতে গেলেই নাকি অন্যদের ডিস্টার্ব করে দেন। সব সময় শোতে তাদের অনুগত সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে যান। নিজেদের গাওয়ার সময় খুব ভালো সাউন্ড বের হয়। দর্শক-শ্রোতার হাততালি উপভোগ করেন তারা। তাদের গানের সময় বাদেই কম্মটা সেরে ফেলেন। আগে পরে যারাই গান, ভীতিকর অভিজ্ঞতা হয় তাদের জন্য। বাজে-বিশ্রী সাউন্ড বের হয়। অন্যরা শান্তিমতো শো করতে পারেন না। নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতেই এই কপটতার আশ্রয় নেন থ্রি-বি।’
‘থ্রি-বি’ প্রসঙ্গে জানতে কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। আসিফ আকবরের বায়োগ্রাফি ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ লিখেছেন সোহেল অটল। এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তার সঙ্গে।
সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘সফল মানুষদের অনেক ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। আসিফ আকবরের লাইফ অনেক কালারফুল। তাকেও নানান অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত আসতে হয়েছে। আকবর ফিফটি নট আউট বইতে তার সবকিছু বিস্তারিত উঠে এসেছে।’
সোহেল অটল আরও বলেন, ‘এই বইতে প্রকাশিত কোনো তথ্য কিংবা ঘটনাই লেখকের মনগড়া নয়। আসিফ আকবর এবং সংশ্লিষ্ট সোর্সের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতেই সব লেখা হয়েছে। যার বায়োগ্রাফি লেখা হয় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই লেখা হয়। এখানেও তাই হয়েছে।’
‘আকবর ফিফটি নট আউট’ প্রকাশ করছে সাহস পাবলিকেশন্স। প্রায় বিশ ফরমায় প্রকাশ হবে বইটি। এর প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। বায়োগ্রাফিটির ইংরেজি সংস্করণ এবং অডিও সংস্করণ প্রকাশ করার পরিকল্পনাও আছে বলে জানা গেছে।
আরবিসি/২৬ এপ্রিল/মানিক