আরবিসি ডেস্ক : ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিয়ে তিন দিনের চাপে থাকবে দূরপাল্লার বাসগুলো। এরইমধ্যে উত্তরবঙ্গের বাসের টিকিট বিক্রি শেষ। আছে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগও।
তবে দক্ষিণবঙ্গের টিকিট বিক্রিতে ধস নেমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাত্রী সংকটে অর্ধেক সিট ফাঁকা নিয়েই চলছে এ রুটের পরিবহনগুলো। এবারের ঈদ মৌসুমে বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া নেয়ায় কিছুটা অস্বস্তির কথা জানান উত্তরের যাত্রীরা।
আগাম টিকিট বিক্রি হওয়ায় বেশ ঝক্কি ঝামেলামুক্ত রাজধানীর কল্যাণপুর বাস টার্মিনাল। সময় হাতে নিয়ে যাত্রীরা কাউন্টারে আসা-যাওয়া করায় বোঝার উপায় নেই যাত্রী চাপ কতটা। তবে অনেকে আসছেন রানিং টিকিট কিনতে, পাচ্ছেন পেছনের সিট। আর পরিবহন সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, প্রায় ৯৮ শতাংশ টিকিট বিক্রি শেষ করেছেন তারা। চাপ বেশি ২৮-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে অসন্তোষ রয়েছে বিআরটিএ নির্ধারিত পুরো ভাড়া নেয়ায়।
বিভিন্ন বাসের কাউন্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৮ তারিখ থেকে যাত্রী চাপ বেশি। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত কোনো সিট নেই। সকালে দুই একটা সিট পাওয়া যেতে পারে।
আরেকজন জানান, আগে টিকিট না কাটলে পাওয়া যাবে না, তাই অনেকে আগে থেকে টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন। যার কারণে এখনই সেটি শেষ হয়ে গেছে। আর বিআরটিএ আমাদের বাসের জন্য যে ভাড়াটা নির্ধারিত করেছে, ওই ভাড়া তো আমরা সারা বছর নেই না। ৬৫০ টাকাই নেয়া হচ্ছে। আগে ভাড়া ছিল ৬০০ টাকা।
আরেকজন জানান, যমুনার ওপাড় থেকে যেসব গাড়ি খালি আনা হয়েছে সেটির যে তেল খরচের টাকা সেটাও উঠছে না।
এদিকে হতাশাজনক অবস্থা গাবতলী বাস টার্মিনালের দক্ষিণ বঙ্গের কাউন্টারগুলোতে। যাত্রী সংকটে দিশেহারা পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। যাত্রী পেতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১ থেকে দেড়শ’ টাকা কমে টিকিট বিক্রি করছেন অনেক পরিবহন কর্মকর্তা।
বাস টার্মিনালে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সজাগ রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
রাজধানী থেকে দেশের বিভিন স্থানে ঈদে বাস চলাচল করে প্রায় এক হাজার।
আরবিসি/২৬ এপ্রিল/মানিক