আরবিসি ডেস্ক : ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তিনটি ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য আজ খুলে দিচ্ছে সড়ক বিভাগ। জয়দেবপুর মোড় থেকে এলেঙ্গা হয়ে হাটিকুমরুল পর্যন্ত সড়কের নওজোর, সফিপুর ও গড়াই- এ তিনটি ফ্লাইওভার খুলে দেয়া হবে।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। এসময় সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের কিছু সুপারিশ ছিল, আমরা সেগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। যানজট যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, ডেডলক যেন না থাকে। এখনো কিছু কিছু জায়গায় কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। আমরা সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে হলে ঈদে যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।’
এদিকে যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা বলছেন, ঈদের আগে যানজট প্রবণ এলাকার এসব ফ্লাইওভার খুলে দেয়ায় ভোগান্তি কমবে। পুলিশ ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যানজট নিরসন ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তবে, সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন-সাসেক প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলমান।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন খান বলেন, সফিপুর, গোড়াই ও নাওজোড় এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ ও সাসেক প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় যানজটের সৃষ্টি হতো। ফ্লাইওভার খুললে যানজট কমবে।
এছাড়া সড়ক পরিবহন সচিব জানিয়েছেন, ফ্লাইওভার তিনটি খুলে দেয়াসহ যানজট নিরসনে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এলেঙ্গা মোড়ে ইন্টারসেকশনগুলো চওড়া করে দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যে গাড়ি আসবে এদিকে তারাকান্দা, মধুপুর, ঘাটাইল দিয়ে জামালপুর ও ময়মনসিংহে যাওয়ার একটা রাস্তা আছে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, ময়মনসিংহ-জামালপুরের গাড়িগুলো সেদিক দিয়ে ডাইভার্ট করার একটা অপশন আমরা রেখেছি।
সড়কের নাওজোড়, সফিপুর ও গোড়াই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলে তিনটি ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজের কারণে এসব পয়েন্ট প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে, ঈদযাত্রার চাপ সামাল দিতে ফ্লাইওভার তিনটি খুলে দেয়া হচ্ছে।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দিনে ১০-১৫ হাজার গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু, ঈদের মৌসুমে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০-৫০ হাজারে।
আরবিসি/২৫ এপ্রিল/ রোজি