• সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন

অর্থ পাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের জেল

Reporter Name / ১৪৮ Time View
Update : সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : অর্থপাচার মামলায় পুরান ঢাকার ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগের বৃহিষ্কৃত নেতা ও দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপনকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বাকি ৯ আসামিরও ৭ বছর করে সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করে আদালত।

একইসঙ্গে আসামিদের চার কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন ছয় আসামি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।

রায় শেষে অর্থ পাচার বন্ধ না হলে আর্থিক খাত অস্থির হবে বলে পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত।

এর আগে ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে অর্থপাচার মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য হয় ৬ এপ্রিল। ওই দিন বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।

এই আদালতে এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে চারটি অর্থ পাচার মামলা বিচারাধীন। বাকি তিনটি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে আছে। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি এই ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব।

এরপর কালামের স্ত্রী ও মেয়ের তথ্যে ওই বাড়ির দোতলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-৩-এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কালামের বাসায় রেখেছিলেন। কালাম সেগুলো নিজের কাছে রাখেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।

এরপর গত বছরের (২০২১ সাল) ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন সাত আসামি। বাকি আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।

আরকিসি/২৫ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category