স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ আবারও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। রোববার বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন ছিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ফলে রোদ তো নয় যেন আগুন নামছে আকাশ থেকে। আগুন ঝরা আবহাওয়ায় পুড়ছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহী। টানা তাপদাহে চারিদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা নেই! আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে বৃষ্টির জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে আবারও তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই করছে। এর মধ্যে আট বছর পর গত ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ সব রেকর্ড ভাঙে।
ওই দিন বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই দেশের সর্বোচ্চ এ তাপমাত্রায় পদ্মাপাড়ের রাজশাহীর জনজীবন অসহনীয় হয়ে পড়েছে।
রাজশাহী পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক কামাল উদ্দিন বলেন, মূলত ৪ এপ্রিলের পর থেকে শুরু হয় তাপপ্রাবাহ। বৃষ্টি না হওয়ায় সেই তাপপ্রাবহ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীর ওপর দিয়ে চলমান মাঝারি তাপপ্রবাহ আজ আবারও তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। সাধারণত ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ।
৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।
এছাড়া দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলেই তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয় বলেও উল্লেখ করেন রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ওই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এর আগে, মরু শহর রাজশাহীতে বৃষ্টির দেখা মিলে গত ৪ এপ্রিল। ওই দিন রাজশাহীতে শূন্য দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এরপর ২০ এপ্রিল ভোর রাতে রাজশাহীতে ১৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল রাজশাহীতে বাস হয় ১৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার। কিন্তু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি না হওয়ায় রাজশাহীতে চলমান তাপপ্রবাহ প্রশমিত হচ্ছে না।
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আদ্রতাও বেড়ে যাওয়ায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। তাই দিনভর তাপদাহে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
আরবিসি/২৪ এপ্রিল/ রোজি