আরবিসি ডেস্ক : রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৯ বছর আজ। নয় বছর আগের এই দিনে সাভারের রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারায় এক হাজারের বেশি শ্রমিক। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করা অনেকেই পাননি ক্ষতিপূরণ, অর্থাভাবে করাতে পারেননি যথাযথ চিকিৎসাও। এছাড়া এত বছর পরও জড়িতদের বিচার না হওয়ায় রয়েছে ক্ষোভও।
সারি সারি শ্রমিকের মরদেহ। আর ধসে যাওয়া ভবন থেকে আহত, রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন আরও অনেকে। ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর এমন হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখে স্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ।
সেদিন বেঁচে ফেরাদের একজন আবুবকর সিদ্দীক। সেই দিনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আজও তাড়া করে তাকে।
রানা প্লাজায় আহত শ্রমিক আবু বকর সিদ্দীক বলেন, জোড় করে আমাদের ভিতরে ঢুকানো হয়েছিল। আমরা ভিতরে ঢুকি। আমি কাজ করতে থাকি। হঠাৎ কারেন্ট চলে যায় এবং একটা আওয়াজ হয়। আর সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই তলে পড়ে যাই। এরপর আমার আর জ্ঞান ছিলনা।’
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত সিদ্দীকির মা। সরকারি সহযোগিতার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।
সিদ্দীকের মতো আরও অনেকের পরিস্থিতিও একই। আহত অনেকেই অর্থের অভাবে বঞ্চিত চিকিৎসাসেবা থেকে। রয়েছে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার আক্ষেপও।
প্রতিবছর রানা প্লাজার সামনে নির্মিত শহীদ বেদীতে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের স্মরণ করেন তাদের স্বজন ও আহত সহকর্মীরা।
কিন্তু, এতদিনেও ভবন ধসের ঘটনায় বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় হতাশ শ্রমিক নেতারা।আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের দাবি তাদের।
বিপ্লবী গার্মন্টেস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু ব্যাপারী বিন্দু বলেন, ‘এই যে শ্রমিকরা, তারা সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ পেতে পারে এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সরকারের কাছে আমাদের সংগঠণের পক্ষ থেকে দাবী জানাচ্ছি।’
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত হন এক হাজার ১শ ৩৮ জন, আহত হন ২ হাজারের বেশি।
আরবিসি/২৪ এপ্রিল/ রোজি