আরবিসি ডেস্ক : অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবোঝাই চারটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন।
অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টাকালে নৌকাডুবির এই ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া চারটি নৌকায় ১২০ জন আরোহী ছিলেন।
মৃতদের সবাই আফ্রিকান। তিউনিসিয়ার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী আয়ারি বলেছেন, নৌকাডুবির পর স্ফ্যাক্সের উপকূল থেকে ৯৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে একইসঙ্গে ইউরোপে উন্নত জীবনের স্বপ্নে বিভোর অভিবাসীদের জন্য স্ফ্যাক্সের উপকূলরেখা একটি প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।
চলতি সপ্তাহে তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছর দেশটির উপকূলীয় এলাকা থেকে ২০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
অন্যদিকে ২০২১ সালে অন্তত ১৫ হাজার অভিবাসী অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উপকূলে পৌঁছেছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, তিউনিসিয়ার উপকূলে কয়েক ডজন মানুষ সমুদ্রে ডুবে গেছে। একইসঙ্গে তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাওয়ার চেষ্টাও অনেক বেড়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ইউএনএইচসিআর’র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ২০২১ সালে ১ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছেন। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৯৫ হাজারের বেশি।
আরবিসি/২৪ এপ্রিল/মানিক