আরবিসি ডেস্ক : অনুমোদন না থাকলেও রাজধানীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হিউম্যান হলার বা লেগুনা। ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগা দিয়েই রাজপথে বেপরোয়া রাজত্ব এই পরিবহনের। লেগুনার যেমন নেই বৈধ কাগজ, তেমনি এর চালকদেরও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিয়েই সবকিছু ম্যানেজ হচ্ছে বলে দাবি চালকদের।
রাজধানীর বিভিন্ন রুটে স্বল্প দূরত্বে চলাচল করার জন্য পরিচিত পরিবহন হিউম্যান হলার বা লেগুনা। রাজপথে চলাচলের বৈধতা না থাকলেও ঢাকার রাস্তায় বীরদর্পে চলছে এসব পরিবহন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সুপারেনটেনডিং ইঞ্জিনিয়ার (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল) কাজী মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনও ব্যবস্থা নেবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, লেগুনা তো অনুমোদিত না। এটা দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের। আপনার শাস্তি দেন।
ট্রাফিক (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর মূল সড়কগুলোতে লেগুনা উঠলে আমরা ডাম্পিং করে দিই। কারণ সেগুলো কোনো অনুমোদিত গাড়ি না।
লেগুনা চালক হাসানের স্বীকারোক্তিতেই উঠে এসেছে এই পরিবহনের নানা অনিয়মের কথা। আর অবৈধ পরিবহন চোখের সামনে দিয়ে কেন চলছে? এ প্রশ্নের কোনো সন্তোষজনক জবাব নেই ট্রাফিক পুলিশের কাছে।
চালক হাসান বলেন, গাড়ির কাগজপত্র তো সারাজীবনই ফেল! পুলিশ ধরলে তাদেরকে নাস্তাপানির জন্য এক থেকে ১৫০ টাকা দিলেই ছেড়ে দেয়।
ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, শুধু লেগুনা না, অবৈধ সব ধরনের যানবাহনের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
দুরন্ত সময়কে আয়ত্তে আনতে নগরবাসী প্রতিনিয়তই ব্যবহার করছেন ঝুঁকিপূর্ণ এই যানবাহন। তবে চলতে হলে দরকার সঠিক ব্যবস্থাপনা।
বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, যেখানে সেখানে লেগুনা না থামানো এবং না উঠার বিষয়ে নাগরিকদের একটা দায়িত্ব রয়েছে, সচেতনতার ব্যাপার রয়েছে।
তথ্য বলছে, যাত্রীসেবার নামে রাজধানীর মহাসড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ, ফিটনেসবিহীন প্রায় ৩০ হাজার যাত্রীবাহী লেগুনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার দ্বারাই এই লেগুনা হয়ে উঠতে পারে, রাজধানীর একটি নির্ভরযোগ্য যানবাহন।
আরবিসি/২৪ এপ্রিল/মানিক