আরবিসি ডেস্ক : ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি ধস নেমেছে দেশটির পর্যটন খাতে। টানা দুই বছর করোনার কারণে দেশটিতে পর্যটক কমে যাওয়ায় মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল দ্বীপ রাষ্ট্রটি। সরকারবিরোধী চলমান বিক্ষোভের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেওয়ায় পর্যটকের সংখ্যা আরও কমে গেছে।
করোনার ধকল কাটিয়ে সবে মাত্র আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত। এর মধ্যেই দেশটিতে শুরু হয় অর্থনৈতিক সংকট। রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় আমদানির অভাবে বিদ্যুৎ গ্যাস জ্বালানিসহ নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের দ্বীপ রাষ্ট্রটি।
অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে দেশটির সাধারণ মানুষ। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশটিতে। এ অবস্থায় পর্যটকের সংখ্যাও আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে।
পর্যটন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, জ্বালানি ঘাটতির কারণে সব ধরনের খরচ বেড়ে গেছে। পর্যটক কমে যাওয়ায় আয় কমেছে ৫০ শতাংশ। করোনা মহামারির পর দেশটিতে প্রায় এক লাখ পর্যটকের আগমন ঘটলেও বর্তমানে তা রেকর্ডসংখ্যক হারে কমতে শুরু করেছে। পর্যটন সংস্থার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের শুরুতে প্রতিদিন পর্যটক আগমনের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়ালেও বর্তমানে তা কমে আড়াই হাজারে নেমে এসেছে।
দেশটির একজন নাগরিক বলেন, আমাদের দেশে চলমান সংকটের কারণে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভে রাস্তাঘাট বন্ধ। এ ছাড়া জ্বালানি, ওষুধসহ অতিপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের ঘাটতি রয়েছে। এতে পর্যটক আকর্ষণ হারাচ্ছে। অতিদ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা না গেলে আমরা আরও বড় বিপদের মধ্যে পড়তে যাচ্ছি।
পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল দেশটিতে চলমান সংকট নিরসনের একমাত্র উপায় পর্যটনশিল্পের বিকাশ। সে লক্ষ্যে আরও পর্যটকবান্ধব পরিকল্পনা ও পরিবেশ নিশ্চিতের তাগাদা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের পাশাপাশি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকারের ওপর নির্ভর করছে দেশটির পর্যটন খাত। অন্যথায় সংকট আরও ঘনীভূত হবে।
আরবিসি/২৩ এপ্রিল/মানিক