আরবিসি ডেস্ক : পটুয়াখালীর দুমকিতে কালাম সর্দার নামে এক ব্যক্তি শিশুসহ একই পরিবারের ৬ সদস্যকে কামড়ে জখম করেছেন। জানা গেছে, ১০ বছর বয়সী এক শিশু ‘কুকুর’ বলে গালি দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটান তিনি।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জনসম্মুখে আসে শনিবার (২৩ এপ্রিল)।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মাসুদা বেগম (৫০), সুমাইয়া আক্তার (২০), ৬ মাসের শিশু রাইয়ান, শাকিল (১৪), লাভলী (২৭) ও তাসমিম (১২)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামের বাসিন্দা কালাম সর্দার এবং আনোয়ার শিকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আনোয়ার শিকদারের প্রতিবেশী ১০ বছর বয়সী একটি শিশু কালাম সর্দারকে কুকুর বলে গালি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনোয়ার শিকদার ও সাত্তার শিকদারের বসতঘরে হামলা চালান কালাম সর্দার। এ সময় বাধা দিলে শিশুসহ ওই পরিবারের ৬ জন সদস্যকে কামড়ে জখম করেন তিনি।
আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী বেগম বলেন, পাশের বাড়ির একটা ছেলে কালাম সর্দারকে গালি দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। আর ধারণা করেন, এটা ওই ছেলেকে আমরা শিখিয়ে দিয়েছি। তাই বসতঘর ভাঙচুরসহ আমাদের ৬ জনকে কামড়ে আহত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কলাম সর্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা কামড় দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তারা বলেন, ওই পরিবারের সঙ্গে আমাদের পূর্ব বিরোধ চলছে। শুক্রবার দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। কিছুদিন আগে আমার বাবা ও কাকাকে ওরা সন্ত্রাসী দিয়ে মেরেছে। আমাদের জমিও দখল করে নিয়েছে। কামড়ের বিষয়টি বানোয়াট বলে জানান তারা।
তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মিজান সর্দার বলেন, সালাম ও কালামের পরিবার অত্যন্ত খারাপ। এরা আগেও মৌলভী আব্দুল বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সর্দারকে কামড়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সালাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরবিসি/২৩ এপ্রিল/ রোজি