মানিক হোসেন: নেই গরমের ভাব, নেই ক্লান্তি। ইফতার শেষে রাতের দিকে বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকছে বেশি। রাত ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতাদের বেচাকেনায় জমজমাট থাকছে রাজশাহীর মার্কেট ও ফুটপাত ।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভালো ভিড় দেখা গেছে। নগরীর সাহেব বাজার, নিউমার্কেট, থিম ওমর প্লাজা, উপশহর নিউ মার্কেট, কোর্ট বাজারসহ ফুটপাতের বিভিন্ন মার্কেটসহ বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় জমছে। দুই বছর করোনার কারণে কঠিন সময় পার করে ভালো বিক্রির আশা ব্যবসায়ীদের।
বনলতা ফ্যাশন থেকে পঙ্কজ বলেন, ‘গত দুই বছর ঈদের সময় লকডাউন আর বিধিনিষেধে কেটেছে। এবার করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করি, ভালো কেনাবেচা হবে। এ বছর ঈদে পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্টের চাহিদা ভালোই । ইদ এলে সকল ধর্মের ক্রেতারা ভিড় করছেন। কারন, উৎসব এলে ভিন্ন ও নতুন নকশা করা কাপড়গুলো বাজারে আসে। এবছর বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবির মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান ব্রাশু, গুটি ও টিস্যু। তবে বেশি চলছে কাবলি। পাশাপাশি গেঞ্জি, শার্ট-প্যান্টও কিনছেন অনেকে।’
সোনালী শাড়ি ফ্যাশনের বিক্রেতা বাদশা জানান, প্রতি বছর ইদে ভারতীয় সিরিয়ালের নামে পোশাক চান ক্রেতারা। তবে এ বছর নতুন এসেছে কাঁচা বাদাম থ্রি পিস, পুষ্পা থ্রি পিস, সরারা ও গারারা। তবে বেশি চলছে স্কার্ট ও ফ্রক।
কসমেটিক্স ব্যাবসায়ী আরাফাত বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে আধুনিক সব প্রসাধনী দোকানে তুলেছি। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সকালের পাশাপাশি সন্ধ্যার পর ব্যাপক ক্রেতা সাড়া মিলছে।’
পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে আসা তানিয়া সুলতানা বৃষ্টি বলেন, ‘দুপুরে এসেছি কেনাকাটা করতে। ফিরতে সন্ধ্যা হবে। বিগত কয়েক ঈদে মার্কেটে আসতে পারিনি। ইদে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। এবার যেহেতু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, তাই স্বচ্ছন্দে মার্কেটে এসেছি। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করবো।’
তিনি আরও বলেন, আরডিএ মার্কেটে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের লোক থাকায় নিশ্চিন্তে কেনাকাটা করতে পারছি।
আরবিসি/২৩ এপ্রিল/মানিক