আরবিসি ডেস্ক : অফিসে কাজের খুব চাপ, কাছের মানুষটি বুঝতে পারছে না আজকাল, পারিবারিক টানাপোড়েন অথবা অকারণ মন খারাপের দিনে নিজেকে লুকিযে রাখবনে না, মেলে ধরুন নিজেকে নতুন ভাবে আত্মবিশ্বাসের সাথে।
জীবনের পথচলায় গভীর আর বিশাল সমস্যা বা ছোটখাটো বিষয়ে মন খারপ হতে পারে। সে সময়ে কিংবা অসময়ে। তখন চেষ্টা করবেন শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে। কারণ, শিশুর সারল্য বড়দের মন খারাপ ভাব অনেকটাই কমিয়ে দেয়। যদি কোনো শিশুর সঙ্গে সময় কাটাতে না পারেন, তাহলে পরিচিত কারও সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারেন যেকোনো বিষয়ে। এক্ষেত্রে মা-বাবা, ভাই-বোন বা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুকে বেছে নিতে পারেন। দেখবেন কথা বলার পর মন খারাপটা কেটে গেছে।
বেশি বেশি মন খারাপ করলে কর্মক্ষেত্র থেকে এক-দুই দিন ছুটি নিয়ে বাসায় থাকুন। এ সময়টাতে রান্না করতে পারেন, বারান্দাতে থাকা বাগানের পরিচর্চা করতে পারেন আর পারেন বই পড়তে, সিনেমা দেখতে। সবচেয়ে ভালো হয় নিজেকে সাজাতে পারলে। কারণ মেয়েদের সাজলে মন ভালো হয়ে যায়। পছন্দমতো রঙের পোশাক পরতে পারেন। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন উজ্জ্বল প্রিন্টের পোশাক। গায়ে কোনো হালকা ফুলেল সুগন্ধ মাখুন। ঠোঁট রাঙিয়ে নিন মিষ্টি গোলাপি লিপ গ্লস আর লিপস্টিকে। তারপর দেখবেন, মন খারাপও আপনাকে ছেড়ে দূরে না পালিয়ে পারছে না!
মন খারাপের দিনে উজ্জ্বল প্রিন্টের নতুন পোশাকটি যেন হয় ‘এলিগ্যান্ট’ ও ‘কিউট’। প্রিন্টেড পোশাকের মেটিরিয়াল হিসেবে আপনি কী বেছে নিচ্ছেন, তার উপরেও মন ভালো হওয়ার অনেক কিছু নির্ভর করে। চেষ্টা করুন শিফন, জর্জেট বা সিল্কের মতো ফ্লোয়ি কোনো কাপড়ের পোশাক পরতে, যাতে আপনাকে দেখতে সুন্দর লাগে। যাদের কোমরের কাছটা সরু, তারা সঙ্গে সরু বেল্ট পরুন। কানে পরতে পারেন ওভারসাইজড হুপ দুল। পায়ে পছন্দের হিল পরতে ভুলবেন না, আর হাতে সুন্দর নকশার হাতঘড়ি থাকলে মন খারাপ দৌড়ে পালাবে।
এই ধরনের পোশাকই যেহেতু আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে, তাই হালকা সাজ বেছে নিলে, আপনার মনটা থাকবে সতেজ। হালকা বেস মেকআপ আর ম্যাচিং লিপস্টিকের ছোঁয়াই যথেষ্ট। চুলটা ব্লো ড্রাই করে নিতে পারলে খুব ভালো হয়। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে ফ্ল্যাট ব্রাশ দিতে ভালো করে আঁচড়ে নিবেন। এভাবে নিজেকে সাজাবেন যখন মন খারাপ হবে, যখন মনের রোদে মেঘ দেখা দিবে। দেখবেন, কীভাবে মনের মেঘ কেটে যায়, আনন্দের আলো ছড়িয়ে পরছে চারদিকে।
আরবিসি/২১ এপ্রিল/ রোজি