স্টাফ রিপোর্টার : ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামের আত্মহত্যা করা দুই সাঁওতাল কৃষকের বাড়ি গিয়ে খোজ নিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান। বুধবার বেলা ১১টার দিকে তিনি নিমঘুটু গ্রামে যান। প্রথমেই আত্মহত্যা করা কৃষক রবি মারান্ডির বাড়ি যান।
এ সময় বাড়িতে শুধু রবির মা দলিনা মুর্মু ছিলেন। বিএমডিএ চেয়ারম্যান তাঁকে সমবেদনা জানান। তখন দলিনা মুর্মু এ সময় অঝোরে কাঁদতে থাকেন। বিএমডিএ চেয়ারম্যান এ সময় দলিনা মুর্মুকে বিএমডিএ’র পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেন।
এরপর আখতার জাহান পাশেই আত্মহত্যা করা আরেক কৃষক অভিনাথ মারান্ডির বাড়ি যান। তবে এই বাড়িতে কেউ ছিলেন না। অভিনাথের বাড়ির পাশে তার মায়ের বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দুপুর পর্যন্ত বিএমডিএ চেয়ারম্যান আখতার জাহান দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের অফিসে গিয়ে বসেন।
তবে সে সময় পর্যন্ত অভিনাথের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফেরেননি। তাই অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রমকে সহায়তার ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলকে দেন বিএমডিএ চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ অভিনাথ মারান্ডি ও তাঁর চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি বিষপান করেন। এতে তাঁদের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ থেকে বোরো ধানের খেতে পানি দেওয়া হচ্ছিল না দুই কৃষককে। তাই তারা বিষপান করেন। এ নিয়ে থানায় দুই পরিবার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছে। পুলিশ গভীর নলকূপের অপারেটর সাখওয়াতকে গ্রেফতার করেছে।
বিএমডিএ সেদিনই তাকে চাকরিচ্যুত করে। গত ১৬ এপ্রিল দুই কৃষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছে পুলিশ। এতে বলা হয়েছে, দুই কৃষকেরই মৃত্যু হয়েছে ‘অর্গানো ফসফরাস যৌগ’ নামের এক ধরনের কীটনাশক পানে।
আরবিসি/২০ এপ্রিল/ রোজি