• সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময়সূচি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ভাইরাল ‘বিয়ের ছবি’ নিয়ে যা বললেন তাহসান সারাদেশে ৫ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাবি শিক্ষকের অশালীন মন্তব্য ভাইরাল রাজশাহীতে অপহৃত নারী চিকিৎসকের সন্ধান মেলেনি ফের রিমান্ডে রাজশাহীর সাবেক এমপি আসাদ এবার হইচইয়ের অভিযোগে রাজশাহীর সারদায় প্রশিক্ষণরত ৮ এসআইকে শোকজ রাজশাহীতে নারী চিকিৎসককে বাসা থেকে অপহরণ রাজশাহীতে ৪ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাজশাহী পুলিশ লাইনস্ স্কুলে শিক্ষার্থীদের রোষানলে পুলিশ

রাজশাহীর এক হিমাগারে পচলো ১০ কোটি টাকার আলু

Reporter Name / ১৪৪ Time View
Update : বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি হিমাগারে প্রায় দেড় লাখ বস্তা আলু পচে গেছে। হিমাগারের গ্যাস মেশিন খারাপ হওয়ার কারণে আলুগুলো পচে গেছে।

পবার মদনহাটি এলাকায় অবস্থিত ‘আমান কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ নামের ওই হিমাগারে রাখা আলুর বিষয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা। কয়েকশো কৃষক ও ব্যবসায়ী হিমাগারটিতে গত মাসেই আলু রাখেন।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে ১ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু আছে। প্রতিটি বস্তায় আলুর পরিমাণ ৫০ কেজি। বর্তমানে ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ৬০০ টাকা। সব আলু পচে গেলে ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়।

চাষিদের দাবি, সব আলুই পচে গেছে। বস্তায় একটা আলু পচে যাওয়া মানেই সব আলু নষ্ট হওয়া। এগুলো আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না। এই হিমাগারে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদামঘর থেকে আলুর বস্তা বের করে স্টোরেজের ভেতরেই বাতাস দেওয়া হচ্ছিল। তখনই কৃষকেরা আলু পচে যাওয়ার কথা জানতে পারেন। এরপর ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষকেরা হিমাগারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে হিমাগার কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর কৃষকেরা শান্ত হন।

বিকেলে হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, যে বস্তা খোলা হচ্ছে সেখান থেকেই বের হচ্ছে পচা আলু। হিমাগারের সামনে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, হিমাগারের গ্যাস মেশিন খারাপ থাকার পরও আলু লোড করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে দুর্বল মেশিন ঠিকমতো গুদাম ঠান্ডা রাখতে পারেনি। ফলে কৃষকের আলু পচে গেছে। এগুলো আর বাজারে বিক্রির উপযোগী নেই।

আলু ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি সাত হাজার বস্তা আলু রেখেছিলাম। এখন জানতে পারছি আমার সব আলু পচে গেছে। ক্ষতিপূরণ না দিলে আমি পথে বসে যাব।’

মার্চ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত হিমাগারে আলু রাখেন কৃষকেরা। এ জন্য বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আলুর বস্তা বের করার সময় টাকা দিতে হয়।

রানা সরদার নামের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘গত বছর আমি এই কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলাম। বিক্রি করার পর ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে আলুর মান ভালো না, নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এবার সব আলু অন্য হিমাগারে রেখেছি। শুধু একটা ট্রলি ভুল করে আমানে ঢুকে পড়েছিল বলে সে ট্রলির ৫৭ বস্তা আলু এখানে রাখা হয়েছিল। এগুলো সব পচে গেছে।’

হিমাগারের ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আলু নানা কারণেই পচতে পারে। আলুর মান খারাপ হলেও পচে যায়। কেন পচেছে তা জানি না। কী পরিমাণ পচে গেছে সে হিসাবও করা হয়নি। চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মালিকের এটা এক দিনের ব্যবসা না। কীভাবে কী করা যায় তা দেখছি।’

আরবিসি/২০ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category