আরবিসি ডেস্ক : ঈদে লঞ্চের কেবিনের সক্ষমতার চেয়ে চারগুণ টিকিট প্রত্যাশী। আগাম টিকিট বিক্রি শুরুর দিনেই সব টিকিট বিক্রি শেষ। নৌপথের যাত্রীদের নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক যাত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।
নৌপথে ঈদ যাত্রায় লঞ্চের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা বুধবার থেকে। বিআইডব্লিউটিএ এই তারিখ ঘোষণা করে। তবে সোমবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘোষিত তারিখের আগেই শেষ হয়ে গেছে কেবিনের টিকিট বিক্রি। ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কেবিনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে আগামী ২৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ডবল ট্রিপ শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বরিশাল-ঢাকা সরাসারি এবং ভায়া রুটে ২৮টি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল লঞ্চ বহরে থাকবে বলে জানা গেছে।
প্রায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একেকটি তিন চার তলা বিশিষ্ট, লিফট সম্বলিত অত্যাধুনিক লঞ্চ চলাচল করে ঢাকা বরিশাল নৌ-পথে। বিলাসবহুল এসব লঞ্চে বিভিন্ন ক্যাটাগরির একটি কেবিনের ভাড়া সর্বনিম্ন ১৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
মোট ২২টি লঞ্চে কেবিনের সংখ্যা সাড়ে তিন থেকে চার হাজার। কিন্তু ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরুর দিনেই কেবিনের টিকিট বিক্রি শেষ। তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, সক্ষমতার চারগুণ বেশি চাহিদা ছিল টিকিটের।
ডবল ট্রিপ দিয়ে যাত্রীচাপ সামালের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে।
বরিশালের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার পরিচালক শেখ আবদুর রহিম জানান, লঞ্চে আড়াই-তিন হাজার কেবিন আছে। তবে এর চাহিদা রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার।
সুরুভী নেভিগেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজিন উল কবির বলেন, একটা কেবিনের জন্য অনেক প্রভাবশালীর ফোন আসে। সেক্ষেত্রে এর ব্যবস্থা করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বরিশালের বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বন্দর সমন্বয় কমিটি আছে, তাৎক্ষণিকভাবে লঞ্চে যদি অতিরিক্ত পরিবহন করা হয়; সে ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নেব।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, যাত্রী সাধারণের নিরাপদে বাড়ি ফেরা এবং তাদের ঢাকা বা নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যাওয়া এটা আমরা সুনিশ্চিত করব।
আরবিসি/২০ এপ্রিল/মানিক