স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার র্যাব-৫ রাজশাহী ও র্যাব-১১ যৌথ অভিযানে গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন খানপুর নামক স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পুঠিয়া উপজেলার কার্তিকপাড়া গ্রামের নমীর উদ্দিনের ছেলে ধর্ষণকারী রাকিব (২৫) ও কাজুপাড়া গ্রামের মৃত আবু সাইদের ছেলে মিজান ।
জানা যায়, গত বুধবার (১৮ এপ্রিল) পুঠিয়ার কাচুপাড় মাঠের মধ্য ১৭ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। এ সময় ধর্ষণকারিরা তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নেয়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার কোয়ালিপাড়া গ্রামে। সে জামগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার এক পায়ে সমস্যা থাকায় খুড়িয়ে হাটে।
স্থানীয় মাসুম হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বেগার মোড়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ছিনতাই ও ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, সকালে কাচুপাড়ার এক আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে যায়। ইফতারের পর একটি ব্যাটারি চালিত রিকশা ভ্যান যোগে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। তার ভ্যানে আরও দুইজন ছিল। এ সময় কাচুপাড়া মাঠের মধ্যে ৫/৬ জন ধারলো অস্ত্র নিয়ে তাদের ভ্যানের গতি রোধ করে।
এ সময় সবার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে তাড়িয়ে দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে মাঠের মধ্যে একটি কলা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তারা তাকে সেখানে রেখে চলে গেলে একা বাজারে এসে লোকজন দেখে কান্না শুরু করে। পরে সেখান থেকে তাকে থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মত র্যাব তার ছায়া তদন্ত শুরু করে। গত (১৮এপ্রিল) র্যাব-৫, সিপিএসসি ও র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর যৌথ অভিযানে গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন খানপুর নামক স্থান থেকে ধর্ষণকারী আসামীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামীদ্বয় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে র্যাব তা নিশ্চত করে বলেন , গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরবিসি/২০ এপ্রিল/মানিক