আরবিসি ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা বেশ কয়েকটি ইটভাটার কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে ৮টি গ্রামের মানুষের জীবন। ধুলো-কাদায় বিপর্যস্ত পরিবেশ আর ট্রাক্টর-ট্রলির দাপটে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট। কৃষিজমি ধ্বংস হওয়ায় শঙ্কিত কৃষক। এসব দেখেও উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন।
গ্রামের মেঠোপথে বালি উড়িয়ে চলছে ট্রাক্টর। দেখে মনে হয় যেন কোনো সিনেমার শুটিং চলছে। লক্ষ্মীপুর সদরের সুতারগোপ্টা-মৌলভীরহাট সড়কের দুই পাশে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে ১৫-২০টি ইটভাটা। এসব ইটভাটায় মাটির জোগান দিতে প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত ট্রাক্টর ও পাওয়ার ট্রলি। এর ফলে ধুলায় ধূসরিত আশপাশের পরিবেশ।
শুকনো মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষায় কাদা। কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাস্তার কারণে চাইলেও দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার পথে ধুলোকাদায় নাস্তানাবুদ। খাবারে মিশে থাকে বালি। এ নিয়েই দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে এলাকার অধিবাসীদের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়।
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি বলেন, আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বন্ধ করতে চাইলে সমস্যা আছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব তৈরি হবে। এটাতে আমরা জড়াতে চাই না। তবে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসার আশ্বাস। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আমরা মাঝে মাঝে অভিযান করি। কিন্ত আবার তারা শুরু করে। এখন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্যে কাজ করছি।
জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। যাতে যেখানে সেখানে মাটি উত্তোলন করতে না পারে। অপরিকল্পিত ইটভাটার কারণে বিপর্যস্ত এই ৮টি গ্রামে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস।
আরবিসি/১৯ এপ্রিল/মানিক