আরবিসি ডেস্ক : অটোমেশন প্রক্রিয়ার আওতায় এলো রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ৩০ হাজার বইয়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ লাইব্রেরি অটোমেশন বেজড সফটওয়্যার ‘কোহা’ (ওপেন সোর্স) এর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ।
এর মধ্য দিয়ে ‘কোহা’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে লাইব্রেরি অব কংগ্রেসসহ বিশ্বের বড় বড় লাইব্রেরির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ সুবিধা পাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই বই ইস্যু করতে পারবেন। কোন বই কোন গ্যালারিতে আছে, বইটি লাইব্রেরিতে আদৌ আছে কিনা যদি থাকে তাহলে কয়টা আছে আর না থাকলে কার কাছে আছে, কবে নাগাদ বইটি পাওয়া যেতে পারে অতি অল্প সময়ে সহজেই তা জানা যাবে। এজন্য প্রত্যেক ছাত্র কিংবা শিক্ষকের নিজস্ব একটি ইউজার আইডি থাকবে। এর মাধ্যমে অনলাইনে জানা যাবে তার কাছে কয়টা বই আছে। বই ফেরত দিতে দেরি হলে কত টাকা জরিমানা হয়েছে তা নিজেরাই অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবে। বই ফেরত দিতে দেরি হলে তাদের নম্বরে মেসেজ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইল চলে যাবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাইব্রেরি স্টাফ-কর্মকর্তাদের অনেক সময় বেচে যাবে এবং সেবা দেওয়া সহজতর হবে।
রুয়েট জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তা এএফএম মাহমুদুর রহমান দিপন বাংলানিউজকে জানান, অটোমেশন প্রক্রিয়ার আওতায় ইতোমধ্যে ৩০ হাজার বই যুক্ত হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় লাইব্রেরিগুলোতে এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আসছে। রুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সার্বিক সহযোগিতায় লাইব্রেরিটি এ অটোমেশন প্রক্রিয়ার আওতায় এলো।
বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা ও সম্প্রসারণের পরিচালক ও লাইব্রেরি পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যন্ত্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক অধ্যাপক ড. মিয়া মো. জগলুল সাদত, কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টারের প্রশাসক ড. মো. আলী হোসেন, উপ-পরিচালক ছাত্রকল্যাণ মো. মামুনুর রশীদ, লাইব্রেরিয়ান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
এর আগে ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর রুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এ অটোমেশন কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ দেড় বছরের কঠোর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় রুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের এ অটোমেশন সুবিধার আওতায় এলো।
আরবিসি/১৮ এপ্রিল/ রোজি