• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন

অবৈধভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুদে জেল ৫ বছর, জরিমানা ১০ লাখ

Reporter Name / ৯৮ Time View
Update : সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : অবৈধভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুদে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন আইন-২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, নতুন আইনের খসড়ায় কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। কেউ যদি এ আইনের অধীনে অপরাধ করে তবে তার অনূর্ধ্ব ৫ বছর জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।

সচিব বলেন, এর মাধ্যমে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে না, মান যাতে নিশ্চিত থাকে, কেউ যেন অনৈতিক কাজ করতে না পারে, ক্রেতারা যাতে না ঠকে, খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে কোনো অপরাধ যেন না হয় সেগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আইনটি আনা হয়েছে।

আইনের অধীনে কয়েকটি অপরাধের কথা তুলে ধরে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, উৎপাদন সংক্রান্ত অপরাধের মধ্যে রয়েছে খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ক্ষতিকর কিছু মেশানো, নির্দিষ্ট সময়ের বেশি মজুত করা। সরকারি কর্মসূচির নামাঙ্কিত বা বিতরণ করা এমন চিহ্ন যুক্ত ছাড়া খাদ্য গুদাম থেকে খাদ্যশস্য ভর্তি বস্তা গ্রহণ, স্থানান্তর, মজুত করা, হাত বদল বা পুনরায় বিক্রি করাও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সরকারি কোনো কর্মসূচির আওতায় নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম বিতরণ করা, সরকারি খাদ্য সামগ্রী বিক্রি বা বিতরণের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) নির্ধারিত মাপ ব্যবহার না করে হেরফের করলে সেটিও অপরাধ।

আরবিসি/১৮ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category