স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর সাগর পাড়া এলাকার মোসা. শাহিনা পারভীন দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। তিনি মো. হাসান আলী মেয়ে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভূমি অধিগ্রহণের চেক নিতে যেতে পারেননি। এই বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক এঁর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানতে পারেন। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহিনা পারভীনের বাসায় ভূমি অধিগ্রহণের চেক পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে শাহিনা পারভীনের বাসায় গিয়ে ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৫৭০ টাকার চেক হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুমন চৌধুরী। আগে জনগণ সেবা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে যেত এখন সরকার জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
বাড়িতে বসে ভূমি অধিগ্রহণের চেক পেয়ে জমির মালিক শাহিনা পারভিন বলেন, এমন একটি সহজ পদ্ধতিতে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা পাওয়া যায় আমার জানা ছিল না। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো এই সেবা দেয়া হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ থাকায় জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল মহোদয় নির্দেশনায় আজকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বাড়িতে এসে অধিগ্রহণের চেক দিল। বাড়িতে বসে এই চেক পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ চালু থাকলে জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা হয়রানির হাত থেকে বাঁচবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এর আগে অধিগ্রহণ করা জমির টাকার জন্য অনেক ঘুরতে হতো। অনেক কাজ নিজেরা বুঝতে পারতাম না। বাধ্য হয়ে দালালদের শরণাপন্ন হতে হতো। এখন থেকে কোনো প্রকার তদবির, সুপারিশ ও উৎকোচ ছাড়া বাড়িতে বসে ভূমি অধিগ্রহণের চেক পাওয়া যাবে। ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে আর দিনের পর দিন ছুটতে হবে না জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। পড়তে হবে না দালালদের খপ্পরে। ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন ক্ষতিপূরণের টাকা।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করছি। উন্নয়ন প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের বাড়ি বাড়িতে গিয়েই ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া অব্যাহত থাকবে। জমি অধিগ্রহণের টাকা প্রদানে হয়রানি ও দালালমুক্ত থাকবে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের কোনো ব্যক্তি এই ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তিনি।
আরবিসি/১৭ এপ্রিল/ রোজি