আরবিসি ডেস্ক : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় বছর ধরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- কাপড় ব্যবসায়ী চন্দন ধর, তার মা সাধনা ধর ও স্ত্রী পূর্ণা ধর।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ূন কবির জানান, ওই কিশোরী শ্রীমঙ্গলের একটি কলেজের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি সে চন্দন ধরের কাপড়ের দোকানে দেড় বছর আগে কাজ নেয়। চন্দন ধর তাকে কৌশলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে মোবাইলে তা সংরক্ষণ করে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে আসছিল।
কিশোরীর অভিযোগ, শনিবার সকালে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়। বিষয়টি চন্দনের মা ও স্ত্রীকে জানালে তারা তাকে চারিত্রিক অপবাদ দিয়ে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে তার হাত-পা বেঁধে একটি রুমে ফেলে রাখে।
পরে মেয়েটির আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আটক করা হয় চন্দনের মা ও স্ত্রীকে। তবে পালিয়ে যায় চন্দন। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরী থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মৌলভীবাজারের জগৎ সী গ্রাম থেকে চন্দন ধরকে আটক করেছে।
আরবিসি/১৭ এপ্রিল/মানিক