• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন

দারকিনা মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন সফল মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট

Reporter Name / ৪৭১ Time View
Update : রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : দেশীয় প্রজাতির পরিবেশবান্ধব, অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ, বাহারি সুস্বাদু ও বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনাময় দারকিনা মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনে সফল হয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।

এ মাছটিকে স্থানীয়ভাবে ডাইরকা, ডানখিনা, দারকিনা, ডানকানা, দারকি, দারকা, চুক্কনি ও দাইড়কা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।

এ নিয়ে খলিশা, বৈরালি, বাতাসি, পিয়ালিসহ দেশীয় ও বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন মৎস্য ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় সকল প্রজাতির মাছের পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের অধীনে চলতি বছর প্রথম সুস্বাদু দারকিনা মাছের কৃত্রিম প্রজননে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে। গত মার্চ মাসে ইনস্টিটিউটের ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি কেন্দ্রে এ সফলতা অর্জিত হয়। গবেষক দলে ছিলেন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রবিউল আউয়াল, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহা আলী। এ বছর আরও ৮টি দেশীয় মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা চলছে।’

তিনি আরও জানান, চলতি বছর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢেলা, রাণী, বাতাসি, পিয়ালি, খলিশা ইত্যাদি মাছের ব্যাপক পোনা উৎপাদনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। ফলে এসব দেশীয় মাছের চাষাবাদে পোনা প্রাপ্তি সহজতর হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

গবেষণার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সকল দেশীয় মাছকে খাবারের টেবিলে ফিরিয়ে আনা হবে। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে জলাশয় সংকোচন, পানি দূষণ এবং অতি আহরণের ফলে দারকিনা মাছের বিচরণ ও প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ায় মাছটির প্রাপ্যতা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং বর্তমানে এ মাছটি বাংলাদেশে বিপন্নের তালিকায় রয়েছে।

এই মাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশে খাবারের মাছ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রজাতির মাছ বাহারি মাছ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই দেশে বাহারি মাছ হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি ও বিদেশে বাহারি মাছ হিসেবে রপ্তানির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন গবেষকরা।

আরবিসি/১৭ এপ্রিল/মানিক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category