• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন

পুনর্ভবা এখন খেলার মাঠ

Reporter Name / ৩৪৪ Time View
Update : শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার সীমান্ত ঘেঁষা এক কালের খরস্রতা পুনর্ভবা নদী এখন শুধুই স্মৃতি আর ছেলেদের ক্রিকেট ও ভলিবল খেলার মাঠে পরিণত হয়ে কালের স্বাক্ষি হয়ে বুক ভরা বালির রাশি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

পুনর্ভবা নদী উইকিপিডিয়ার সূত্র মাতে পুনর্ভবা বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিনাজপুর জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২২৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১০২ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা ‘পাউবো’ কর্তৃক পুনর্ভবা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৭২। নদীটির বর্তমান উৎপত্তিস্থল হচ্ছে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের বিলাঞ্চল। নদীটি পতিত বা মিলিত হয়েছে চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার মহান্দা নদীর মহোনায়।

এছাড়া ইতিহাস থেকে আরোও জানা যায়, পুনর্ভবা নদীর প্রাচীন উৎস্য ব্রাহ্মণপুর বরেন্দ্রভূমি। ১৭৮৭ খৃষ্টাব্দে হিমালয়ের বন্যায় প্রচন্ড ভূমিধবসে ভারতের সানুর নিকট এ নদীর পার্বত্য উৎস্যমুখ বন্ধ হয়ে যায়।

এলাকার প্রবীন ব্যক্তিদের নিকট থেকে আরোও জানা যায় এক সময়ে প্রায় ১২মাসই বহমান ছিল পুনর্ভবা এই নদী। বৃটিশ ও পাকিস্থান শাসনামলে এই উত্তর জনপদের রাস্তাঘাটের তেমন কোন উন্নতি না হওয়ায় এক শহরের সাথে অন্য শহরের যোগাযাগের ক্ষেত্রে এই এলাকার মানুষজনের ব্যবসা বাণিজ্যের একমাত্র পানিপথের রাস্তা ছিল এই নদীটি। সে সময় এই নদীতে ছোট বড় নানা ধরণের নৌকা চলত। নদীর বুক চিরে অনেক ধরণের মালবোঝাই এমনকি বিয়ের বর যাত্রিদের নৌকার বাহারী বহরও চোখে পড়ত এই নদীতে।

বর্তমানে কালের আবর্তনে প্রকৃত নদী শাসন না থাকায় ধিরে ধিরে নদীটি তার যৌবন হারিয়ে ফেলেছে। নদীটি এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে এক রাশ বুক ভরা বালির রাশি নিয়ে ধু’ধু বালির মরুভুমি হয়ে রয়েছে।

প্রতিবছর খরা মৌসুম এলেই ছেলেরা নদীর বুকে ক্রিকেট ভলিবল খেলার নেট টাঙ্গিয়ে সকাল বিকাল খেলা করে থাকে। কয়েক বছর আগেও প্রতি খরা মৌসুমে নদীর পানি কমে গিয়ে নদীতে বিশাল বিশাল বোয়াল মাছ, সৌলমাছ, বাম মাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে থাকতো নদীপাড়ের লোকজন।

এখন আর সামান্য পানিটুকুও থাকেনা বর্তমানে নদীটি শুধুই স্মৃতি আর মরা খাল। নদীটিকে আবারো তার যৌবন ফিরিয়ে সারা বছর বহমান রাখার জন্য সাপাহারবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ সহ দৃষ্টি কামনা করেছেন।

আরবিসি/১৬ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category