আরবিসি ডেস্ক : ট্রেনের টিকেট কিনতে প্রত্যেকের লাগবে আলাদা পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম সনদ দেখাতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কোনো ব্যক্তি যদি তার পরিবারের চার সদস্যের জন্য টিকিট কিনতে চান তাহলে তাকে চারজনের পরিচয়পত্রই বা জন্ম সনদ দেখাতে হবে। আগের মতো একজনের পরিচয়পত্র দেখিয়ে চারটি টিকিট কেনা যাবে না। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি নিয়ে বুধবার রেল ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই নিয়মের কথা জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাউন্টারে টিকিট কাটার সময় যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম সনদের ফটোকপি দেখাতে হবে। একজন যাত্রী চারজনের টিকিট কাটবে সে ক্ষেত্রে চারজনের এনআইডি বা জন্মসনদ দেখাতে হবে, তা না হলে টিকিট দেওয়া হবে না। তাছাড়া প্রতিটি ট্রেনে মহিলা ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটা করে আলাদা কোচ সংযোজন করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যেসব স্টেশনে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে সেগুলো হলো, কমলাপুর রেলস্টেশন, বিমানবন্দর স্টেশন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন, তেজগাঁও স্টেশন ও ফুলবাড়িয়া (পুরনো রেলভবন)। ঈদে ৬টি বিশেষ ট্রেন চলবে। এর মধ্যে চাঁদপুর স্পেশাল দুই জোড়া, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ১ জোড়া, শোলাকিয়া স্পেশাল দুই জোড়া, খুলনা স্পেশাল ১ জোড়া। স্পেশাল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে দেওয়া হবে না।
আগামী ২৩ তারিখ থেকে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৩ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। ২৪ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৮ এপ্রিলের টিকিট। ২৫ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ২৯ এপ্রিলের টিকিট। ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। ২৭ এপ্রিল দেওয়া হতে পারে ১ মের অগ্রিম টিকিট। এদিকে ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট দেওয়া শুরু হবে ১ মে থেকে। এই দিন দেওয়া হবে ৫ মের অগ্রিম টিকিট।
রেলমন্ত্রী বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত স্টেশনের কাউন্টারে এবং সকাল আটটা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ঢাকা স্টেশনের ২৩ কাউন্টার খোলা রাখা হবে মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি কাউন্টার থাকবে। ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের তিনদিন পূর্বে কন্টেইনার, জ্বালানি তেলবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে না।
আরবিসি/১৪ এপ্রিল/ রোজি