আরবিসি ডেস্ক : দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। এদিন রাত ৯টায় দেশে রেকর্ড ১৪ হাজার ৪২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এই তথ্য জানান পিডিবির পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় সারাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ১ মেগাওয়াট। আমরা উৎপাদনও করেছি ১৪ হাজার ৪২৩ মেগাওয়াট। এই মুহূর্তে ২২ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় কোথাও লোডশেডিং ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাত ৯টায় সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল।
দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিদ্যুতায়ন হয়েছে সব শহর, গ্রাম, চর, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা।
স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের জনগোষ্ঠীর ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছিলো। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় এসেছে। এক যুগে এ অভাবনীয় সাফল্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং মুজিববর্ষ পূর্তিতে দেশের সব নাগরিককে বিদ্যুতের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করল সরকার।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ২১ লাখের বেশি বিদ্যুৎসংযোগ রয়েছে, যার আওতায় জনগণের শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এক যুগ আগে বিদ্যুৎ গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। এই মধ্যবর্তী সময়ে ২ কোটি ১৩ লাখ বিদ্যুৎসংযোগ বেড়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮টিতে। দেশের যেসব স্থানে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরাসরি পৌঁছানো যায়নি সেখানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযোগ এবং সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা গত ১২ বছরে পাঁচ গুণ বেড়েছে। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিদ্যুৎসহ দেশে এখন উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। আরও ১৩ হাজার ২১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। ভারত থেকে বর্তমানে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
আরবিসি/১৩ এপ্রিল/মানিক