আরবিসি ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে ভোলায় কর্মহীন দুই লক্ষাধিক জেলে। অনেকে নিবন্ধন থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছেন খাদ্যসহায়তা থেকে। আবার আধা লাখের বেশি জেলেই রয়েছেন নিবন্ধনের বাইরে। এতে সংসার চালাতে ঋণের চাপে নদীতে ছুটছেন বারবার, হচ্ছে জেল-জরিমানাও। প্রতিবার একই সময় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও সহায়তা যথাসময়ে না পাওয়ায় ক্ষোভের শেষ নেই তাদের।
জানা যায়, জাটকা নিধন নিষেধাজ্ঞায় উত্তাল মেঘনার বুকে জেলেদের উদ্যমতা থমকে যায়। নৌকা নিয়ে সাহসী ছুটে চলায় টান পড়ে, কর্ম হারিয়ে অলস দিন যাপন শুরু করেন হাজার হাজার জেলে। জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থায় পড়েন ভোলার জেলেরা। প্রতিবছর একই সময় একই পরিস্থিতির শিকার হন তারা। কিন্তু বারবারই খাদ্যসহায়তা যথাসময়ে দিতে ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
জেলায় দুই লাখের বেশি জেলে পয়লা মার্চ থেকে সম্পূর্ণ কর্মহীন। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি নিবন্ধিত থাকলেও দুমাসের খাদ্যসহায়তা পেয়েছেন প্রায় ৯৩ হাজার।
এদিকে, অনিবন্ধিত জেলেরা সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তাই পাচ্ছেন না। এতে ধারদেনার বোঝার চাপে বাধ্য হয়েই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পেটের দায়ে নদীতে ছুটে যান অনেকে।
ভোলা সদর রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মাসুদ রানা বলেন, ‘৬০০ জেলেকে আমরা কার্ডের আওতায় আনছি। চারবার ৪০ কেজি করে চাল দেব। এর মধ্যে দ্বিতীয় বার তাদের চাল দেওয়া শুরু হয়েছে।’
ভোলা জেলা উন্নয়ন ও স্বার্থরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা সফলসহ চলমান সংকট দূর করতে সরাসরি মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত এমন সব জেলেকে নিবন্ধনের আওতায় এনে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা দিলেই আমাদের ইলিশের অভয়স্থল থাকবে ভোলায়।’
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, শতভাগ জেলেকে ভিজিএফ কর্মসূচিসহ অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া উচিত।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় জেলায় এ পর্যন্ত ৮৬৭ জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। নৌ-পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতে হয়েছে একজনকে।
আরবিসি/১৩ এপ্রিল/মানিক