আরবিসি ডেস্ক : বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনো ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে রয়েছে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এসময় তিনি আও বলেন, বাংলাদেশ সব সূচকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে গণভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ বিভাগ কর্তৃক ‘শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সামস্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক উপস্থাপনা অবলোকন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে ‘অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টি’ ও ‘শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন তুলে ধরা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ বিভাগ উপস্থাপন করে এই প্রেজেন্টেশন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। সভায় উপস্থিত বক্তারা জানান, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বড় কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনো ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে।
বৈঠকে শ্রীলঙ্কার চলমান সংকটের কারণ ও এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখা হয় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক। প্রায় সব সূচকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল আছে বলে মত প্রকাশ করেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায়, দেশের বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটি সমন্বিত রাজস্ব ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়।
আরবিসি/১২ এপ্রিল/ রোজি