• বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

দেশে সর্বনিম্ন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু

Reporter Name / ৮৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : দেশে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও ভাইরাসটিতে মৃত্যু প্রায় নিয়ন্ত্রণে। ক’মাস আগেও করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবরেটরিতে প্রতি ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩২ জন। সে অবস্থা কাটিয়ে বর্তমানে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ শতাংশেরও নিচে নেমেছে। দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক তাণ্ডবের মুখে গত বছরের ১০ আগস্ট করোনায় একদিনে ২৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে তখন মুমূর্ষু রোগীদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) শয্যা হয়ে উঠেছিল সোনার হরিণ।

করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের ঊর্ধ্বমুখী প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি একদিনে ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর আসে। এরপর ধীরে ধীরে ভাইরাসটিতে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর হার নিম্নমুখী হয়। বর্তমানে দৈনিক মৃত্যুসংখ্যা প্রায় শূন্যের কোটায়। গত ৪ এপ্রিল দেশে করোনায় একজনের মৃত্যুর ছয় দিন পর সোমবার (১১ এপ্রিল) দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় আরও একজনের নাম আসে। গত এক মাসে (মার্চ ১০ থেকে এপ্রিল ১০ পর্যন্ত) করোনায় মারা গেছে ২৬ জন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই শিথিল হওয়ায় সংক্রমণভীতি কাটিয়ে স্বাভাবিকতা ফিরেছে জনজীবনে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর এ নিম্নমুখী ধারায় জনমনে প্রশ্ন জাগছে, তবে কি দেশ করোনামুক্ত? যদিও দেশের রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে ঠিক, তবে এ অবস্থাকে পুরোপুরি করোনামুক্ত বলা যাবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কথায়ও একই সুর- করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, তবে দেশ করোনামুক্ত হয়ে গেছে, এখনই তা বলা যাবে না।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুপেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। চীনা প্রশাসন প্রথমে উহান ও পরবর্তীসময়ে শহরটি পরিবেষ্টিত হুপেই প্রদেশের অন্যান্য শহরে জরুরি অবরুদ্ধকরণ জারি করলেও ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ দ্রুত গোটা চীনে এবং এরপর বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশন (আইএইচআর) ইমার্জেন্সি কমিটি শিগগির বৈঠকে বসে দুই বছর আগে ঘোষিত ‘বৈশ্বিক মহামারি’ প্রত্যাহার করবে নাকি অব্যাহত রাখবে, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি ৮৭৯টি ল্যাবরেটরিতে মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৯টি নমুনা পরীক্ষায় (সরকারি ল্যাবে ৯২ লাখ ৪ হাজার ২৭৬টি ও বেসরকারি ল্যাবে ৪৬ লাখ ৮৩ হাজার ৯০৩টি) ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৫ রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে মারা যান ২৯ হাজার ১২৩ জন (পুরুষ ১৮ হাজার ৫৯৩ জন ও নারী ১০ হাজার ৫৩০ জন)। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ১৪০ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হার যথাক্রমে ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ৯৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

আরবিসি/১২ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category