• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

রাবি চারুকলায় বৈশাখী সাজ

Reporter Name / ৩৭৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

রাবি প্রতিনিধি : বাংলা নববর্ষ। বাঙালির এই সার্বজনীন লোকউৎসবটি আসতে আর বাকি মাত্র এক দিন। যা কিছু জীর্ণ-পুরোনো, অশুভ ও অসুন্দর, তা পিছে ফেলে নতুনের কেতন উড়িয়ে বছর ঘুরে আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। যাত্রা শুরু হতে চলেছে আরও একটি নতুন বছরের।

পহেলা বৈশাখের বর্ণিল উৎসবে মাতবে পুরো দেশ। ভোরের সূর্য্য রাঙিয়ে দিবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। নববর্ষের এই উৎসবকে সামনে রেখে দেশের নানা পেশাজীবী মানুষ মাতবেন বর্ষবরণ উৎসবে। আর সেদিক থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চারুকলা অনুষদ বেশ ঘটা করেই উদযাপন করে বাঙালির প্রাণের এই উৎসবটি।

ইতোমধ্যে নববর্ষকে স্বাগত জানাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চারুকলা অনুষদ সাজছে বর্ণিল সাজে। অনুষদের শিক্ষার্থীরা রঙ-তুলি দিয়ে রাঙাচ্ছেন পুরো চারুকলা। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনটিকে রাঙিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হরেক রকমের রঙ-তুলির ছোঁয়ায় সাদা রঙের দেওয়ালে ফুটিয়ে তুলছেন গ্রাম বাংলার লোকজ সংস্কৃতি। আবার অনেকে চারুকলার রাস্তাগুলোকেও রাঙাচ্ছেন হরেক রকমের আলপনায়।

প্রথমবারের মতো রঙ-তুলি দিয়ে চারুকলা রাঙাচ্ছেন অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নওশীন তাসনীম নবনী। তিনি বলেন, প্রথমবর্ষে করোনার কারণে আমরা ঘরে বসে অনলাইনে বৈশাখ উদযাপন করেছি। এবারে সরাসরি বৈশাখের কাজে যুক্ত হয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথমবারের মতো বৈশাখ উদযাপন করব এটা ভাবতেই নিজের মাঝে অন্যরকম এক অনুভূতি বিরাজ করছে।

তারই সহপাঠি নিলদ্রী শেখর রায় বলেন, বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা এবারে তা সশরীরে উদযাপন করতে যাচ্ছি এজন্য অনেক ভালো লাগছে।

অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী নয়ন আহমেদ সুমন বলেন, এবারের বৈশাখে আমরা পুরো চারুকলাকে রাঙিয়ে তুলব। চারুকলার পুরাতন ভবনজুড়ে লোকজ ধাঁচের দেওয়ালচিত্র করা হবে এছাড়া পলাশ চত্বর থেকে শুরু করে চারুকলার প্রতিটি রাস্তায় আলপনা করা হবে।

জানতে চাইলে বৈশাখ উদযাপনে দায়িত্বে থাকা চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী আবরার গালিব বাঁধন বলেন, বৈশাখ আমাদের বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। আমরা অন্যান্যবারের ন্যায় এবারও বর্ষবরণ করতে যাচ্ছি। এবারে আমরা লোকজ ধাঁচের দেওয়াল চিত্র এবং আলপনা দিয়ে চারুকলাকে রাঙাবো এবং বৈশাখের দিনে অনুষদের সামনে তিনটি খেরো খাতা রাখব, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক-শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীরা ইচ্ছেমতো ছবি আঁকতে পারবেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, এবারের বৈশাখের মূল প্রতিপাদ্য হলো হালখাতা। যেহেতু হালখাতার মাধ্যমেই বাঙালিদের মাঝে নববর্ষ উদাযাপনের প্রচলন হয়েছিল, তাই আমরা সেটিকে ধারণ করেই এবারের বৈশাখ উদযাপন করতে যাচ্ছি। হালখাতার মাধ্যমে আমরা এই বিষয়টির ইঙ্গিত দিচ্ছি যে, এখন থেকে আমরা নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা নিবো এবং সময়মতো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করব। বৈশাখের প্রথমদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। আর হালখাতার দিনে যেহেতু মিষ্টিমুখ করানো হয়, রমজান মাস হওয়ায় আমরা এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চারুকলায় উপস্থিত সকলকে মিষ্টিমুখ এবং ইফতার করাব।

মঙ্গল শোভাযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইলে ডীন বলেন, আমরা এবারে দুটি পর্বে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করব। প্রথম পর্বে বৈশাখের প্রথমদিনে থাকছে হালখাতা। আর দ্বিতীয়পর্বে বৈশাখের শেষদিনে থাকবে মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং বাঙালির ঐতিহ্য নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আরবসি/ি১২ এপ্রলি/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category