আরবিসি ডেস্ক : গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে দেশের ছয়টি বিভাগে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আভাস রয়েছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। একই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী (২৩-৪৩ মিলিমিটার) থেকে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা দমকা আকারে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ায় বাড়তে পারে হাওর অঞ্চলের প্রধান-প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে নেত্রকোনা জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল আছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার নাগাদ (১৩ এপ্রিল) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশের কতিপয় স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবারের মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে, অপরদিকে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আরবিসি/১১ এপ্রিল/ রোজি