স্টাফ রিপোর্টার: মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুর বড় ছয়ঘটি গ্রামের সেই অন্তরা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। মেডিকেল কলেজে চান্স পেলেও টাকার অভাবে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ঘটনাটি ১০ এপ্রিল সোনার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল তাকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। পাশাপাশি মুজিব শতবর্ষের ঘর তৈরী করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক, বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানাসহ অন্তরা ও তার মা রসুনারা বেওয়া।
এ বিষয়ে অন্তরা খাতুন সোনার দেশকে বলেন, আর্থিক অনটনের মধ্যেও নিজের ইচ্ছা শক্তি আর সবার দোয়ায় এ পর্যায়ে পোঁছাতে পেরেছি। কিন্তু আমার পরিবারের পক্ষে মেডিকেলে ভর্তির টাকা জোগাড় করা কষ্টকর হচ্ছিল। এরপর আমাকে ডিসি স্যার সহায়তার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি খুশি এবং কৃতজ্ঞ।
অন্তরা আরো জানান, ছোট বেলায় বাবা মারা যায়। মা রসুনারা বেওয়া অন্যের বাড়ীতে ও ভাই সোহেল রানা রাজমিস্ত্রি কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি তার লেখাপড়ার খরচ যোগান দেয়। এবার সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে মেধা তালিকায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও আর্থিক অনটনের কারণে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আরবিসি/১১ এপ্রিল/ রোজি