আরবিসি ডেস্ক : পাহাড়ি ঢলের চাপে সুনামগঞ্জের হাওরের বাঁধগুলো এখন নড়বড়ে। একটুতেই পানি ঢুকে হাজার হাজার মানুষ একমাত্র ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। ঋণ করে লাগানো ধান এখন গো-খাদ্য। ছয় দিনে বাঁধ ভেঙে জেলার সাত উপজেলার প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়।
হাওরপাড়ের নারী সুঞ্জলার কান্না এখন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরপাড়ের কচুয়া গ্রামের ঘরে ঘরে।
এলাকার চাপতি ও বৈশাখী হাওরের তিন হাজার হেক্টর জমির একমাত্র ফসল বোরো ধান রক্ষায় পিআইসির বৈশাখি বাঁধ ভেঙে নিঃস্ব জনপদের হাজার হাজার মানুষ। ঋণ করে লাগানো ধান এখন গো-খাদ্য।
ভুক্তভোগী এক নারী কান্না করে বলছেন, কোথায় যাব, কি খাব, কীভাবে ছেলেমেয়েদের মানুষ করব।
হাওরে লাগানো সারি সারি মরিচের গাছগুলোতে মরিচ পাকার আগেই তুলে আনায় লোকসানে পড়েছেন কৃষক। আর হাওরের পানিতে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে হাঁসগুলো রয়েছে বন্দি অবস্থায়।
ছয় দিনে জেলার সাত উপজেলার বাঁধের ছয়টি ভাঙনে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
এলাকার লক্ষাধিক মানুষের বছরের একটি মাত্র ফসল রক্ষায় যে বাঁধটি নির্মাণ করা হলো, সেটি ভাঙনের ফলে তাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। বারবার স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় স্থায়ী সমাধান দাবি এলাকাবাসীর।
আরবিসি/৯ এপ্রিল/মানিক