আরবিসি ডেস্ক : পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বহুল আলোচিত যে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছেন।
দেশটির সর্বোচ্চ এই আদালত বলেছেন, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে ডেপুটি স্পিকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত ‘অসাংবিধানিক এবং অবৈধ।’ একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়াকেও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এদিকে, আদালতের রায় ঘোষণার পর দেশটির বিরোধী দলীয় নেতারা উল্লাস প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো এক টুইটে বলেছেন, গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ প্রতিশোধ।
দেশটির শীর্ষ এই আদালত বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই। আজ পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার এবং প্রেসিডেন্টের নেওয়া সব সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করা হল।’
আগামী শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন পুনরায় আহ্বান করে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠানে স্পিকার আসাদ কায়সারকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। সর্বসম্মত রায়ে বিচারপতিরা বলেছেন, আগামী শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটের আয়োজন করতে হবে।
‘…যদি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হয়, তাহলে জাতীয় পরিষদ নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবে,’ রায়ে বলেছেন পাক সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিরা বলেছেন, ওই দিন কোনও সদস্যকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া যাবে না। তবে ভোটাভুটিতে যদি অনাস্থা প্রস্তাব ব্যর্থ হয়, তাহলে সরকার যথারীতি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
এর আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেছিলেন, জাতীয় স্বার্থ এবং বাস্তব সম্ভাবনা দেখেই আদালত এগিয়ে যাবেন। তিনি বলেছেন, ডেপুটি স্পিকারের আদেশটি প্রাথমিকভাবে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। সুপ্রিম কোর্ট টানা পঞ্চম দিনের মতো সুরির ‘অসাংবিধানিক’ আদেশের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেছেন।
আরবিসি/০৭ এপ্রিল/ রোজি