নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সড়ক তিন মাসও যায়নি। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়ক নির্মাণের অল্প সময়েই বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর সড়কটি নির্মাণ করা হয়।
গত রোববার এই অভিযোগ অনুসন্ধানে কাটাখালী পৌরসভায় যান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল। সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইনের নেতৃত্বে এই দলে ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরীও। দুদক কর্মকর্তারা পৌরসভার কাটাখালী বাজার থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দ্বারা পরিমাপও নেন।
দুদক জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, গত বছর নির্মাণের মাত্র তিন মাসেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকার এই সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। রোববার দুদকের ইনফোর্সমেন্ট ইউনিট ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালায়। এ সময় পৌরসভা থেকে রাস্তাটি নির্মাণের নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দ্বারা পরিমাপ গ্রহণ করা হয়েছে। পরিমাপ প্রতিবেদন পাওয়ার পর টিম কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেবে।
জানা গেছে, কাটাখালী বাজার থেকে শ্যামপুর বালুঘাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হয় গত বছরের মার্চে। এতে ব্যয় হয় প্রায় তিন কোটি টাকা। কথা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করবেন শ্যামপুর, দেওয়ানপাড়া, বাখরাবাজ, শ্যামপুর বাখরাবাজ, কাটাখালী, চরপাড়াসহ সাতটি গ্রামের হাজারো মানুষ। কিন্ত সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই খানাখন্দক সৃস্টি হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মাণের সাত দিন না যেতেই নষ্ট হতে শুরু করে সড়কটি। তিন মাসের ভেতরে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়।
বর্তমান পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সড়কটি পুনরায় সংস্কারে মন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিন বছরের আগে এই সড়কে কোনো টাকা বরাদ্দ দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ফলে দুর্ভোগ সঙ্গে নিয়েই এ সড়ক দিয়ে আরও তিন বছর যাতায়াত করতে হবে পৌরবাসীকে।
আরবিসি/৬ এপ্রিল/মানিক