আরবিসি ডেস্ক : ক্যাসিনোকাণ্ডে সহোদর এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা পাচার মামলার রায় বুধবার ঘোষণা করার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না।ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় এদিন রায় ঘোষণা হয়নি। পরে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায় ঘোষণার জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
যুক্তিতর্কের সময় এনু, রুপন এবং এ মামলার অপর ৫ আসামির আইনজীবী আদালতকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তাদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং এই অভিযোগ থেকে তাদের খালাস দেওয়া উচিত। রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শেষ করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেছেন।
এর আগে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডি পরিদর্শক সাদেক আলী আওয়ামী লীগের গেন্ডারিয়া ইউনিটের সাবেক সহসভাপতি এনু এবং যুগ্ম সম্পাদক রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
বাকি আসামিরা হলেন তাদের ৩ ভাই শহিদুল হক ভূঁইয়া, রাশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া, মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার এবং তাদের সহযোগী তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও পাভেল রহমান।
তাদের মধ্যে এনু, রুপন, জয় গোপাল, নবীর হোসেন, আজাদ ও সাইফুলকে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়ারী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। একই মামলায় তুহিনকে গ্রেফতার করার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। শহিদুল, রশিদুল, মেরাজুল ও পাভেল পলাতক রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৩ এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসাব বাদী হয়ে এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা হয়।
আরবিসি/৬ এপ্রিল/মানিক