• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

গাজীপুরে পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, যুবকের মরদেহ উদ্ধার

Reporter Name / ১১৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

আরবিসি ডেস্ক : গাজীপুরে পুলিশের ভয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ যুবক মামুনের (২৫) ৩৫ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মামুন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা (জেলেপাড়া) গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে।

মামুনের বড় ভাই মাসুম জানান, মঙ্গলবার সকালে শীতলক্ষ্যা নদীর কাপাসিয়া উপজেলা এলাকার রায়েদ খেয়াঘাটে এক যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মাসুমসহ তার স্বজনেরা ওই খেয়াঘাটে গিয়ে তার ভাই মামুনের মরদেহ শনাক্ত করে। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

মামুনের বড় ভাই মাসুম নিজেও পাড়ে দাঁড়িয়ে তার ভাইকে মাঝ নদীতে দুই হাত ওপরে তুলে বাঁচার চেষ্টা করতে দেখেন বলে জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এএসআই শাকিল আহাম্মদ এর আগেও একাধিকবার তার ভাই মামুনকে আটক করেছে। মামলাও দিয়েছে। এতে মামুনের মনে পুলিশি ভীতি কাজ করত সবসময়। তাই, সে পুলিশকে দেখে আটকের হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল।

প্রসঙ্গত, রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইফতার কেনার জন্য দোকানে যাওয়ার জন্য মামুন বাড়ি থেকে বের হয়। পথে শ্রীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাকিল আহম্মেদের সঙ্গে তার দেখা হয়। এ সময় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাকিল আহাম্মদসহ সাদা পোশাকের ২-৩জন পুলিশ তাদের সোর্স রৌশনকে সঙ্গে নিয়ে মামুনকে ধরার চেষ্টা করলে সে দৌড়ে নদীর পাশে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।

একপর্যায়ে বাঁচার জন্য মামুন পাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয়। সাঁতার কেটে নদী পার হওয়ার সময় মামুন মাঝ নদীতে তলিয়ে যায়। নদীর পাড়ে থাকা স্থানীয়রা মামুনের পানিতে তলিয়ে যাওয়া দেখতে পান। খবর পেয়ে শ্রীপুরের মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওইদিন রাতে শীতলক্ষ্যা নদীতে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া জানান, সে শ্রীপুর থানার চুরি (২৬(৬)২১) মামলার পলাতক আসামি। ওই এএসআই এর আগেও মামুনকে একই মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল। রোববার বিকেলে মামুনকে গ্রেপ্তারে পুনরায় অভিযান চালালে সে পুলিশকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মরদেহ ফুলে যাওয়ায় প্রাথমিক সুরতহালে নিহতের শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আরবিসি/৫ এপ্রিল/মানিক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category