আরবিসি ডেস্ক : সারি সারি ব্যাগ আর হ্যাঙ্গারে ঝোলানো পোশাকে ভরে গেছে রাজধানীর দর্জিবাড়ি। ঈদকে কেন্দ্র করে চাপ বাড়ায় রাতভর কাজ করছেন কারিগররা। রোজার শুরুতেই অর্ডার নেয়া শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে টেইলার্সগুলো। শ্রমিক সংকটে অতিরিক্ত অর্ডার নিতে হিমশিম অবস্থা। তবে চলতি মৌসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ব্যবসায়ীদের।
রাজধানীর শপিংসেন্টারগুলোর মতো দর্জি পাড়াতেও পদচারণা বেড়েছে মানুষের। ঈদ আনন্দ নিজের মতো করে উদ্যাপনে কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে নানা অনুষঙ্গ দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছেন পছন্দের পরিচ্ছেদ।
ক্রেতারা বলেন, রেডিমেড পোশাকের থেকে নিজের পছন্দসই বানানো পোশাক বেশি আরামদায়ক মনে হয়।
টেইলার্সগুলোতে ঝুলে রাখা সারি সারি ব্যাগ আর পোশাকের অবস্থাই বলে দেয় চাপ বেড়েছে দর্জিদের। অনেকেই কাজ করছেন সেহরি পর্যন্ত। তবে শ্রমিক সংকটের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে দর্জিরা বলেন, ‘সকাল থেকে সেহরি পর্যন্ত কাজ করতে হয়। অর্ডারের চাপ সামলাতে আরও লোক দরকার।’
এ বছর অনেকটাই ভালো সময় কাটছে টেইলার্স শিল্পের। দুঃসহ করোনার দুই বছর পর এবার নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করছেন অনেকেই। পোশাকের মজুরিও বাড়েনি বলে জানান তারা।
গ্রাহকের রুচিশীলতার ভিন্নতায় কেউ কিনে থাকেন তৈরি পোশাক, কেউ কাপড় কিনে বানিয়ে নিতে আসেন দর্জিপাড়ায়। শবেবরাতের পর থেকেই শুরু হয় নতুন অর্ডার, এবারের ঈদকে ঘিরে রোজার শুরুতেই অর্ডার নেওয়া শেষপর্যায়ে বলে জানান টেইলার্স কারিগররা।
আরবিসি/৫ এপ্রিল/মানিক