আরবিসি ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চাকুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের চাকরি ‘খাওয়ার’ হুমকির অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপবৃত্তির উদ্বৃত্ত টাকার হিসাব চাওয়ায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক রবিউল আওয়ালকে এমন হুমকি দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরিফা আক্তার।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরিফা আক্তারের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ বেলা ১১টার দিকে উপবৃত্তির উদ্বৃত্তসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য বরাদ্দের টাকার হিসাব চাওয়ায় সহকারী শিক্ষক রবিউল আউয়ালের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরিফা আক্তারের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি রাগান্বিত হয়ে রবিউল আওয়ালকে হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি একটা ফকিরের বাচ্চা। যারা প্রকৃত ফকির তারা হিসাব চাইতে আসে। এই স্কুলে কীভাবে চাকরি করেন আমি দেখছি।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা নিজেই ইচ্ছামতো ব্যয় করেন। হিসাবের কোনো বিল-ভাউচার স্কুলের বিল রেজিস্টারসহ যাবতীয় রেজিস্টার স্কুলে রাখেন না। উদ্বৃত্ত টাকা প্রতিদিন ৩০ টাকা হারে মোবাইল খরচ দেখানো হয়।
ইতিপূর্বে বিভিন্ন কারণে চারবার তাকে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে শোকজ করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সহকারী শিক্ষক রবিউল আওয়াল বলেন, ‘এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের চাকরি করা বা অবস্থান করা আমার জন্য অপমানজনক। বিদ্যালয়ের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ, সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং আমাকে গালিগালাজ ও হুমকির বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আরিফা আক্তরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি ছালাম বলেন, ‘সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছি। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরবিসি/৫ এপ্রিল/মানিক